প্রতিবেদন : অন্যদিনের মতোই স্কুলে গিয়ে ইউক্রেনে রুশ হামলার ছবি এঁকেছিল ১৩ বছরের মারিয়া মাসকালিওভা। তুলির আঁচড়ে সে ফুটিয়ে তুলেছিল ভয়াবহ রুশ হামলার ছবি। কিন্তু এই ছবি এঁকে রাষ্ট্রদ্রোহিতা করেছে মারিয়া। তাই তাকে তার বাবা-মার কাছ থেকে সরিয়ে নিয়ে আটকে রাখা হয়েছে এক অনাথ আশ্রমে। এমনকী, তাকে মা-বাবার সঙ্গেও যোগাযোগ করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। যদিও সূত্রের খবর, পরে ওই নাবালিকাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি মারিয়ার বাবা অ্যালেক্সের বিরুদ্ধেও রুশ সেনাকে অসম্মান করার অভিযোগ আনা হয়েছে। বিচারে যদি দোষ প্রমাণ হয় তাহলে মারিয়ার বাবারও কড়া শাস্তি হতে পারে।
আরও পড়ুন-ঘুষকাণ্ডে এবার গ্রেফতার কর্নাটকের বিজেপি বিধায়ক
ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করার পরে রাশিয়া এক নতুন আইন তৈরি করেছে। ওই আইনে বলা হয়েছে, কেউ রুশ সেনাকে অসম্মান করলে বা সেনার কাজের বিরোধিতা করলে তার তিন বছরের কারাদণ্ড হবে। এরই মধ্যে সামনে এসেছে স্কুল পড়ুয়া মারিয়ার আঁকা ছবি। ওই ছবিতে দেখা গিয়েছে, রাশিয়ার পতাকা লাগানো মিসাইল উড়ে এসে আঘাত করছে ইউক্রেনের নিরপরাধ নারী ও শিশুদের উপর। ওই ছবি দেখে মারিয়ার স্কুলে হানা দেয় পুলিশ।
আরও পড়ুন-অঙ্গনওয়াড়িতে এলপিজি
পুলিশের অভিযোগ, মারিয়ার বাবা ও রুশ সেনার বিরোধিতা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন সময়ে একাধিক পোস্ট করেছেন। এরপরই স্কুল থেকে মারিয়াকে নিয়ে গিয়ে রাখা হয় এক অনাথ আশ্রমে। পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করাও বন্ধ করে দিয়েছে রুশ প্রশাসন। পাশাপাশি মারিয়ার বাবা অ্যালেক্সের বিরুদ্ধেও আনা হয়েছে একাধিক অভিযোগ। ৬ এপ্রিল অ্যালেক্সের বিচার প্রক্রিয়া শুরু হবে। দোষী প্রমাণ হলে তাঁর তিন বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। এমনকী, তিনি পিতৃত্বের অধিকার হারাতে পারেন।