প্রতিবেদন: কলকাতার রাজভবন (Raj Bhawan) আগামী দিনে সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হবে। মানুষ পায়ে হেঁটে ঐতিহাসিক ওই ভবনের বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখতে পারবেন। রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে কলকাতা রাজভবনকে জন রাজভবনে রূপান্তরিত করার কথা জানানো হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর (President Draupadi Murmu) সম্মানে রাজভবনে নৈশভোজের আয়োজন করা হয়। সেখানে রাষ্ট্রপতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে রাজভবনের প্রতীকী চাবি তুলে দেন। কিছুদিন আগেই রাষ্ট্রপতি ‘সেকেন্দ্রাবাদ রাষ্ট্রপতি নিলয়ম’-কে জনসাধারণের জন্য খুলে দিয়েছেন। তার থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই কলকাতার রাজভবনকে (Raj Bhawan) জনরাজভবনে পরিণত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে রাজ্যের পর্যটন দফতর এই ‘হেরিটেজ ওয়াক’ রূপায়ণের সম্পূর্ণ দায়িত্ব নিচ্ছে। তবে কবে থেকে সাধারণ মানুষ এই সুযোগ পাবেন, সে সম্পর্কে এখনও নবান্নের তরফে অনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। রাজভবন থেকে ঔপনিবেশিক ঐতিহ্য দূর করার জন্যই এই উদ্যোগ নিয়েছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। স্বাধীনতা সংগ্রামীদের উদ্দেশে সম্মান জানানোই তাঁর উদ্দেশ্য। এর পাশাপাশি চলতি সফরে রাজ্যপাল রাষ্ট্রপতির হাতে তুলে দিয়েছেন একটি কফি টেবিল বুক। বইয়ের নাম ‘হান্ড্রেড ডেজ অ্যান্ড বিয়ন্ড’। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হয়ে আসার পর প্রথম ১০০ দিনের কিছু বেশি সময়ে সি ভি আনন্দ বোস যে সব অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন, তার ছবি আছে ওই বইয়ে। বইতে আছে নটি পরিচ্ছদ। একটি পরিচ্ছদের নাম ‘বেঙ্গল অ্যাট হার্ট’, একটি পরিচ্ছদের নাম ‘দি পিপলস গভর্নর’, একটি পরিচ্ছদের নাম ‘কো-অপারেটিভ ফেডারেলিজম’। বইটি কালেক্টরস আইটেম। তাতে রাজভবনের স্থাপত্য নিয়েও নানা মূল্যবান ছবি আছে। ঔপনিবেশিক বেড়াজাল পেরিয়ে এবার থেকে সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত হল রাজভবন। রাজভবনের কলোনিয়াল হ্যাংওভার নতুন কিছু নয়। আসলে এই ভবন গড়ে তোলা হয়েছিল তৎকালীন বড়লাটদের জন্য।