প্রতিবেদন : সাংসদ ও বিধায়কদের বিরুদ্ধে কোনও মামলায় রায়দানের ক্ষেত্রে নিম্ন আদালতের বিচারকদের সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। শীর্ষ আদালতের বিচারপতি কেএম জোসেফ এবং বিচারপতি বিভি নাগরত্নার বেঞ্চ বলে, যেহেতু দু’বছর বা তার বেশি সাজা হলে সাংসদ ও বিধায়কদের সদস্যপদ তৎক্ষণাৎ খারিজ হয়ে যায় তাই সাজা ঘোষণার সময় বিচারকদের যথেষ্ট সতর্ক থাকতে হবে। তা ছাড়া সাংসদ-বিধায়কদের শাস্তি ঘোষণার পর দেশ জুড়ে বড় মাপের প্রতিক্রিয়াও হয়। সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে৷
আরও পড়ুন-প্রত্ননিদর্শনের পাচার রুখতে কড়া পদক্ষেপ নিল নবান্ন
সম্প্রতি নিম্ন আদালতের রায়ে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ হয়ে গিয়েছে। তার প্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চের এই পরামর্শ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে আইনজ্ঞ এবং রাজনৈতিক মহল। সুরাতের আদালত যেভাবে তড়িঘড়ি করে রাহুল মামলার রায় দিয়েছে তা অনেকেরই নজর কেড়েছে। সামান্য মানহানির মামলায় রাহুলকে সর্বোচ্চ শাস্তি দিয়েছে নিম্ন আদালত। রাজনৈতিক মহলের অনুমান, সুরাত আদালতের এই নির্দেশের পিছনে রয়েছে বিজেপির প্রবল রাজনৈতিক চাপ। যে কোনও প্রকারে রাহুলের সাংসদ পদ কেড়ে নেওয়াই ছিল যেন উদ্দেশ্য। সেই লক্ষ্যেই রায় ঘোষণা করেছে সুরাতের আদালত। এদিন সর্বোচ্চ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ তাই সাংসদ-বিধায়কদের বিরুদ্ধে রায়দানের সময় নিম্ন আদালতগুলিকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে।
আরও পড়ুন-দিঘায় ২৫ একর জায়গায় জগন্নাথ মন্দির
উল্লেখ্য, লাক্ষাদ্বীপের সাংসদ মহম্মদ ফয়জলের সাংসদ পদ খারিজ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে বৃহস্পতিবার শুনানি ছিল। নিম্ন আদালত এনসিপির ওই সাংসদকে খুনের চেষ্টার অভিযোগে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল। স্বাভাবিকভাবেই সঙ্গে সঙ্গেই ফয়জলের সাংসদ পদ খারিজ হয়ে যায়। কিন্তু এই মামলার বিচারে সুপ্রিম কোর্ট সাংসদের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে খারিজ করে দেয়। লাক্ষাদ্বীপ প্রশাসন শীর্ষ আদালতের রায়ের বিরোধিতা করে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল। এদিন সেই মামলার শুনানিতেই এই মন্তব্য করে বেঞ্চ।