প্রত্ননিদর্শনের পাচার রুখতে কড়া পদক্ষেপ নিল নবান্ন

প্রত্নতাত্ত্বিক বিষয় নিয়ে কাজ করছে এরকম মানুষও তাঁদের ব্যক্তিগত সংগ্রহশালায় তা নিয়ে যান। এ নিয়ে প্রত্ননিদর্শন পাচারকারীরা সক্রিয় হয়ে ওঠে

Must read

প্রতিবেদন : রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উদ্বার হওয়া প্রত্ননিদর্শন পাচার বা বেহাত হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে উদ্যোগী হল রাজ্য সরকার। রাজ্যের কোনও জেলা থেকে প্রত্নতাত্ত্বিক কোনও নির্দশন উদ্ধার হওয়া মাত্রই রাজ্যর প্রত্নতাত্ত্বিক অধিকর্তাকে তা জানাতে হবে বলে রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি সচিব শান্তনু ঘোষ জেলাশাসকদের চিঠি দিয়ে এই নির্দেশ দিয়েছেন বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন-দিঘায় ২৫ একর জায়গায় জগন্নাথ মন্দির

সাম্প্রতিক কালে বিভিন্ন জেলায়, রাস্তা তৈরি, কূপখনন, পুকুর সংস্কারের কাজ করতে গিয়ে নানা ধরনের প্রত্ন-নির্দশন উদ্ধার হয়েছে। আইন অনুযায়ী মাটির তলা থেকে প্রাপ্ত এ-ধরনের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের মালিকানা সরকারের। এ-ব্যাপারে সচেতনতার অভাব এবং প্রশাসনিক গাফিলতির কারণে অনেক সম্পদ বেহাত হয়ে যাওয়ার তথ্য সামনে এসেছে। কেউ কেউ এগুলি পেয়ে প্রশাসন, পুরসভা, পঞ্চায়েতকে জানায় না। আবার অনেকেই বিষয়টি স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসনের নজরে আনেন। তখন স্থানীয় প্রশাসন তা সরাসরি সব সময় রাজ্য প্রত্নতাত্ত্বিক অধিকর্তাকে না জানিয়ে স্থানীয়ভাবে ভারতীয় জাদুঘর বা স্থানীয় কোনও সংগ্রহশালায় দিয়ে দেয়।

আরও পড়ুন-২৪ ঘণ্টার জন্য লাগবে না সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট ফি, ভারতীয় ব্যবসায়ীদের ভুটানে মিলবে ছাড়

প্রত্নতাত্ত্বিক বিষয় নিয়ে কাজ করছে এরকম মানুষও তাঁদের ব্যক্তিগত সংগ্রহশালায় তা নিয়ে যান। এ নিয়ে প্রত্ননিদর্শন পাচারকারীরা সক্রিয় হয়ে ওঠে। মোটা টাকার ব্যবসা চলে। রাজ্য সরকারের লক্ষ্য, এই বেআইনি ব্যবসাকে নিয়ন্ত্রণ করা। রাজ্য সরকারই এগুলি সংরক্ষণ করতে চায়। বেহালায় রাজ্য সরকারের নিজস্ব মিউজিয়াম রয়েছে। সেখানে নানা যুগের মুদ্রা থেকে মূর্তি সংরক্ষিত রয়েছে।

Latest article