দেশের অন্যান্য রাজ্য সরকারগুলির মতো পশ্চিমবঙ্গ সরকারও একটি আর্থিক সংকটের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে। আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডারের ঋণ ও বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার চুক্তির কারণে সর্বভারতীয় স্তরে থেকে একটি তথাকথিত উদারনীতি সমগ্র দেশের ওপর আরোপ করা হয়েছে। প্রথমে এই নীতি কেন্দ্রীয় সরকারের স্তরে শুরু হয়েছে। কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে রাজ্যগুলির ক্ষমতা সংকোচন করার প্রক্রিয়া আগে থেকেই ছিল। এখন রাজ্যগুলির আর্থিক ক্ষমতার ওপর নতুন করে আঘাত এসেছে। এই আঘাতের মূল উদ্দেশ্য রাজ্য সরকারগুলির ক্ষমতাকে, তাদের সামাজিক কল্যাণকর ভূমিকাকে খর্ব করা। উপরের লেখাটি ২০০৩ সালে ৩০ জানুয়ারি প্রকাশিত একটি বই যা তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকারের অর্থ দপ্তর ‘রাজ্য সরকারের আর্থিক সংকট ও কারণ এবং সমাধানের পথ’ শীর্ষক বিষয়ে প্রকাশ করে। আর্থিক সংকটের সাতটি প্রধান কারণ যা পশ্চিমবঙ্গ ও অন্যান্য রাজ্যগুলির আর্থিক সংকটের কারণ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে, যার প্রথম কারণটি এই বই থেকেই তুলে ধরেছি— ‘প্রথম কারণটির সূত্রপাত হয় কেন্দ্রীয় পঞ্চম বেতন কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মীদের বেতন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত থেকে। রাজ্য (Opposition parties- Bengal) সরকারগুলি সাধারণভাবে মনে করে, যেহেতু কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মীদের ও রাজ্য সরকারের কর্মীদের কাজের ধরন একই, তাই তুলনীয় বেতন পুনর্বিন্যাসের নীতিগত ভিত্তি আছে। গত পাঁচ বছর ধরে তাই কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের ব্যাপক প্রভাব পড়তে থাকে রাজ্যগুলিতে সরকারি কর্মী ও অন্যান্যদের বেতন বৃদ্ধির মাধ্যমে।” রাজ্য সরকারগুলির বেতন ও অবসরকালীন ভাতার খাতে ব্যয় গত পাঁচ বছরে প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। একথা উপরোক্ত দুটি বিষয়ে বামফ্রন্ট প্রথম স্বীকার করেছে। রাজ্যের তীব্র আর্থিক সংকটের মূল কারণ কেন্দ্রীয় সরকারের কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের বেতন ও পেনশন বৃদ্ধি। যদিও রাজ্য সরকার কোনও দিন কেন্দ্রীয় সরকারের সমতুল্য বেতন মহার্ঘভাতা ও পেনশন দেয়নি। যে কোনও বেতন কমিশনে রাজ্য সরকার কর্মচারীদের বেতন ও পেনশন বৃদ্ধি করে যা পরবর্তী কালে মা, মাটি মানুষের সরকারও দিয়েছে।
ওই বইয়ের ১-২ অনুচ্ছেদে লেখা হয়েছে ‘সরকারী কর্মী ও অন্যান্যদের বেতন ও অবসরকালীন ভাতার খাতে রাজ্য সরকারের সামগ্রিক বাৎসরিক ব্যয় ১৯৯৭-’৯৮ সালে ৬১৭৭ কোটি টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে বছরে ১২,২৩৯ কোটি টাকাতে এসে দাঁড়িয়েছে।’
মার্কসবাদী কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্ব পরিচালিত বামফ্রন্ট সরকার ঠিক পরের অনুচ্ছেদে (১-৩) লিখেছেন এই কঠিন আর্থিক পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য বাজার থেকে স্বল্প সুদে ঋণ গ্রহণের সুযোগ দেওয়া হোক। আজকে যারা কেন্দ্রীয় হারে দিয়ে ডিএ মহার্ঘভাতা দেবার জন্য রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে গিয়ে বাজার গরম করছেন তারাই এই পশ্চিমবাংলাকে ঋণের ফাঁদে প্রথম যুক্ত করেছিলেন কেন্দ্রীয় সরকারের মতো বেতন ও পেনশন দিতে গিয়ে এটা প্রমাণিত যদিও কেন্দ্রীয় সরকারের সমান বেতন, মহার্ঘভাতা (ডিএ) ও পেনশন কখনও দেননি। প্রসঙ্গত অত্যন্ত দায়িত্ব নিয়ে বলতে চাই ১৯৭৫-’৭৬ অর্থবর্ষ পর্যন্ত রাজ্যের কোনও ঋণ ছিল না।
মার্কসবাদী কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বে গঠিত বামফ্রন্ট সরকার ওই বইয়ে ১-৩ নম্বর অনুচ্ছেদে লিখেছেন, “এখনো পর্যন্ত রাজ্য সরকারগুলি বেতন বৃদ্ধির এই অতিরিক্ত ব্যয়ভারের অর্ধেক অর্থের জন্য রিজার্ভ ব্যাঙ্কের অনুমোদনে কোনও মধ্যমেয়াদি ঋণের সহায়তা পায়নি।’
আরও পড়ুন- নাম বলতে চাপ, সিবিআই-ইডির অভিষেকের বক্তব্য প্রতিষ্ঠা করলেন শাহ
উপরোক্ত বক্তব্য থেকে পরিষ্কার যে রাজ্যের আর্থিক সংগতি না থাকা সত্ত্বেও পপুলার পলিটিক্স করতে গিয়ে তীব্র আর্থিক সংকটে পড়েছিল সে কথা তাঁরাই স্বীকার করেছিলেন।
বর্তমানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ষষ্ঠ বেতন কমিশনের সুপারিশ-সহ প্রাপ্য মহার্ঘভাতা দিয়েছেন এবং আরও দেওয়ার ইচ্ছা থাকলেও কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিহিংসামূলক মনোভাবের জন্য তারা রাজ্যের প্রাপ্য ১ লক্ষ ১৫ হাজার কোটি টাকা দাবি করলেও নানা অজুহাতে সেই টাকা দিল্লির বিজেপি সরকার দিচ্ছেন না। তিনি এ কথাও বলেছেন কেন্দ্র টাকা দিলে সরকারি কর্মচারীদের আরও কিছুটা ডিএ দেবেন।
আমরা দেখতে পাচ্ছি কেন্দ্রীয় সরকার যাতে রাজ্য সরকারের প্রাপ্য টাকা না দেয় তার জন্য রাজ্য বিজেপি দিল্লিতে দরবার করেছে আবার অনশন মঞ্চে গিয়ে তাদের ডিএ আদায়ের লড়াইতে আছে বলে নাটক করছে। একই নাটক করছে মার্কসবাদী কমিউনিস্ট পার্টি যারা ২০০৩ সালে বই ছেপে বলেছে কেন্দ্রীয় সরকারের মতো বেতন মহার্ঘভাতা-সহ ও পেনশন দেওয়ার ফলে রাজ্য সরকার তীব্র আর্থিক সংকটে পড়েছে। কংগ্রেসের নেতৃবৃন্দ ও অনশনের মঞ্চে গিয়েও একইভাবে কাগজে ছবি তুলছেন। যাদের কোনও দায় নেই তাদের এই নাটক করার কোনও নৈতিক অধিকার নেই কারণ অতি সম্প্রতি সাগরদিঘির উপনির্বাচনে প্রকাশ্যে কংগ্রেস ও মার্কসবাদী কমিউনিস্ট পার্টি জোট করেছিল এবং গোপনে বিজেপিকেও সঙ্গী করেছিল যার জন্য বিজেপির ভোট কংগ্রেস পেয়ে নির্বাচনে জয়ী হয়। পশ্চিমবাংলা আজ এক অনৈতিক জোট দেখেছে যা অতীতে কখনও এই রাজ্যে হয়নি। যে মার্কসবাদী কমিউনিস্ট পার্টির হাত কংগ্রেস কর্মীর রক্তে রক্তাক্ত, যাদের ইতিহাস সাঁইবাড়িতে সন্তানকে হত্যা করে তার রক্ত ভাতে মেখে মাকে খেতে বাধ্য করেছিল আজ রাজ্যের কংগ্রেস সেই মার্কসবাদী কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে হাত মিলিয়েছে, শুধুমাত্র রাজনৈতিক অস্তিত্ব রক্ষার জন্য নীতি বা আদর্শের কোনও বালাই নেই।
মার্কসবাদী কমিউনিস্ট পার্টি এবং কংগ্রেসের সঙ্গেও ভারতীয় জনতা পার্টির কয়েক যোজন দূরত্ব কিন্তু তারাও গোপন সমঝোতা করেছে সমস্ত নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে। এই বইয়ের ১–৪, ১- ৫, ১-৬, ১-৭, ১-৮, ১-৯, ১-১০, ১-১১, ১- ১২ অনুচ্ছেদে নানা ভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের নীতি ও আর্থিক ব্যবস্থার ফলে উদ্ভূত ঋণের বোঝা, কেন্দ্রীয় ঋণের বোঝা, বিধ্বংসী বন্যার জন্য প্রাপ্য টাকা থেকে বঞ্চনা, ঋণের বোঝা দ্বিগুণ বৃদ্ধি প্রভৃতি কারণগুলি রাজ্যের তীব্র আর্থিক সংকটের কারণ বলে উল্লেখিত হয়েছে দীর্ঘ কুড়ি বছর অতিক্রান্ত হবার পর। তৃণমূল কংগ্রেস ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসে এবং ২০১৬ ও ২০২১ সালে জয়ী হয়ে তৃতীয় বারের জন্য ক্ষমতায় আসে বিপুল সংখ্যাধিখ্যের (২১৩টি আসন) মাধ্যমে।
কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনা, একতরফা নীতি নির্ধারণ পুঁজিবাদী অর্থনীতির প্রয়োগ এবং রাজ্যের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চনার বিরুদ্ধে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যে কারণগুলি উল্লেখ করেছেন, কুড়ি বছর আগে সেই কথা সিপিএম বললেও আজ সেই মার্কসবাদী কমিউনিস্ট পার্টি পরিস্থিতির রাজনৈতিক সুযোগ নিয়ে রাজনৈতিক ভাণ্ডামো করছে। এই বই-এর ৩-৭ থেকে ৩-১১ অনুচ্ছেদে দেখা যাচ্ছে পরিকল্পনাখাতে ব্যয়ের তুলনায় পরিকল্পনা বহির্ভূত ব্যয় ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং ‘পরিকল্পনা ও পরিকল্পনা বহির্ভূত ব্যয়ে নতুন সমস্যা’ শীর্ষক আলোচনা করা হয়েছে উপরোক্ত অনুচ্ছেদগুলিতে। একটা সরকার কেমনভাবে ঋণের অন্ধগলিতে প্রবেশ করে সব দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সরকারের নীতি আর বেতন ও পেনশন দেওয়ার কথা তুলে ধরেছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার ২০১১ সালে যখন ক্ষমতায় আসে তখন ১ লক্ষ ৮৭ হাজার কোটি টাকা ঋণের বোঝা, উন্নয়ন স্তব্ধ, সিপিএমের অতি-বিপ্লবী আন্দোলনে অসংখ্য কারখানা বন্ধ, বিনিয়োগ নেই শিল্পে অর্থাৎ একটা ভেঙে-পড়া অর্থনীতি এবং ঋণে জর্জরিত রাজ্যের দায়িত্ব নেন মমতা ব্যানার্জি। এই বই-এর ৪-২, ৪-৩ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে পঞ্চম বেতন কমিশনের কথা, আর নতুন করে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে কীভাবে ঋণ নেওয়া যায়। বিপুল সংখ্যাধিক্যে ক্ষমতায় এসেছিল বামফ্রন্ট সরকার ১৯৭৭ সালে এবং ২০০৩ সালে তীব্র অর্থ সংকটের মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বেতনবিন্যাসকেই দায়ী করেছেন। অর্থাৎ ক্ষমতায় আসার ২৬ বছর পরে শুধু ভ্রান্তনীতির জন্য আর্থিকভাবে দেউলিয়া হয়ে যায় পশ্চিমবঙ্গের বামফ্রন্ট সরকার সেটা ঐ বই প্রকাশের মধ্যে দিয়ে স্বীকার করে নিয়েছে।
এই প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিচালিত মা-মাটি-মানুষের সরকারের মাত্র এক বছরের কার্যকালের সাফল্য তুলে ধরে প্রমাণ করতে চাই সরকার পরিচালনা শুধু রাজনৈতিক স্বার্থে হলে তা সফল হয় না, সরকার পরিচালনায় অবিমৃশ্যকারিতার কোনও স্থান নেই।
২০১১ সালে ভারতবর্ষের ২০টি রাজ্যের মধ্যে সার্বিক উন্নয়নের নিরিখে পশ্চিমবঙ্গের স্থান ছিল ১৭ তম। দেশের সব ক’টি রাজ্যের ওয়েবসাইটে উন্নয়নের যে তথ্য তুলে ধরা হয় তারই নিরিখে উপরোক্ত তথ্য প্রকাশিত হয়। ২০১২ সালে অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এক বছরের শাসনে সার্বিক উন্নয়নের নিরিখে ১৭তম স্থান থেকে এক লাফে ষষ্ঠ স্থানে উঠে আসে। ভারতের কোনও রাজ্য এক বছরে এই উন্নতি করতে পারেনি।
এই প্রসঙ্গে জানা দরকার কীভাবে এই র্যামকিং করা হয় যেমন, কৃষিতে পশ্চিমবঙ্গ ২০১১ সালে ছিল ২০তম স্থানে এবং এক বছরের মধ্যে প্রভূত উন্নয়নের মধ্য দিয়ে উঠে আসে সপ্তম স্থানে। শিক্ষায় পশ্চিমবঙ্গ ২০১১ সালে ছিল ১৭তম রাজ্য। আর মাত্র এক বছরে অর্থাৎ ২০১২ সালে উন্নয়নের নিরিখে উঠে আসে তৃতীয় স্থানে। সরকার পরিচালনায় দক্ষতা ক্ষেত্রেও ২০১১ সালে বামফ্রন্টের স্থান ছিল দশম আর মাত্র এক বছরে অর্থাৎ ২০১২ সালে দক্ষতার সঙ্গে সরকার পরিকল্পনা করার জন্য পশ্চিমবঙ্গ উঠে আসে দ্বিতীয় স্থানে। স্বাস্থ্যে পশ্চিমবঙ্গ ছিল ১৩তম স্থানে। মাত্র এক বছরে উঠে আসে সপ্তম স্থানে। শিল্পে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বামফ্রন্ট আমলে ১৫তম স্থান থেকে এক বছরে উঠে আসে নবম স্থানে। ক্ষুদ্র শিল্পের ক্ষেত্রে উঠে আসে এক নম্বর স্থানে। অনেক তথ্য দেবার প্রয়োজন নেই শুধু একটা কথা বলা প্রয়োজন তা হল— রাজ্য চালাবার জন্য আন্তরিকতা ও দূরদর্শিতা লাগে শুধু রাজনৈতিক মুনাফা নেবার জন্য যারা রাজ্য পরিচালনা করে তারা রাজ্যকে ক্রমশ পিছনের দিকে নিয়ে যায়। আজ সংবাদমাধ্যমে গিয়ে বিজেপি, সিপিএম ও কংগ্রেস নেতারা ডিএ-র জন্য কুম্ভীরাশ্রু বর্ষণ করছে। যে দায়িত্ব নিলে রাজ্য সরকার আর্থিক দিক দিয়ে পঙ্গু হয়ে যাবে সেই সিদ্ধান্ত সরকার নিতে পারে না এটা ২০০৩ সালে বামফ্রন্ট সরকার দ্বারা প্রকাশিত ‘রাজ্য সরকারের আর্থিক সংকট ও কারণ এবং সমাধানের পথ’ বইয়ের ছত্রে ছত্রে লেখা সেই ভুলের কথা প্রমাণিত। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার প্রাপ্য ১ লক্ষ ১৫ হাজার কোটি টাকা রাজনৈতিক কারণে রাজ্যের গরিব মানুষকে বঞ্চিত করার জন্য আটকে রেখেছে যা দয়ার দান নয়, করুণাভিক্ষা নয়। সেই টাকা দিলে তিনি কিছুটা ডিএ দিতে পারেন। যদিও ষষ্ঠ বেতন কমিশন অনুযায়ী বর্তমান সরকার প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছে। দায়িত্বজ্ঞানহীন বামফ্রন্ট, কংগ্রেস, বিজেপি তাদের দায়িত্ব পালন করেনি কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গকে আজ এক উন্নত রাজ্যে পরিণত করেছেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে পশ্চিমবঙ্গ আজ ১০০ দিনের কাজে, ক্ষুদ্র শিল্পে, গ্রামে বাড়ি তৈরির ক্ষেত্রে, গ্রামে রাস্তা তৈরির ক্ষেত্রে, সংখ্যালঘু বৃত্তি প্রদানে, স্কিল ডেভেলপমেন্ট, ই-টেন্ডারিংয়ে, দারিদ্র্যদূরীকরণে (২০১১-’১২ থেকে ২০১৭-’১৮) এক নম্বর, ধান, পাট উৎপাদনে ১ নম্বর, আলু উৎপাদনে দ্বিতীয় স্থানে, শস্য উৎপাদনশীলতায় প্রথম, কৃষকদের আয়বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ২০টি বড় রাজ্যের মধ্যে প্রথম, কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রে প্রথম, দুয়ারে সরকার প্রকল্প দেশে প্রথম। এমনিভাবে পশ্চিমবঙ্গ সকল বিষয়ে দেশে প্রথম স্থানে আসছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে। কন্যাশ্রী, সবুজসাথী সমগ্র বিশ্বে স্বীকৃতি লাভ করেছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে অগ্রাধিকার রাজ্যের গরিব, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, তফসিল ও ওবিসি এবং প্রান্তিক মানুষ। যাঁদের জন্য তিনি সর্বস্য পণ করেছেন তাঁদের জীবনের মূলস্রোতে যুক্ত করার জন্য। পপুলার পলিটিক্স করে রাজ্যকে ঋণের ফাঁদে ফেলে দেওয়া নয়। আজ রাজ্যের ঋণ যতকুটুই বেড়েছে তার জন্যও দায়ী বামফ্রন্ট সরকার।
পরিশেষে বলতে চাই পশ্চিমবঙ্গে বিরোধী দলগুলি ‘পলিটিক্যালি হিপোক্রেট’ (Opposition parties- Bengal) অর্থাৎ রাজনৈতিক ভণ্ড।