আমেদাবাদ, ২ এপ্রিল : বেঙ্গালুরুতে (RCB- Mumbai Indians) গত কয়েকদিন ধরে বিরাট-উৎসব চলছে। চার বছর পর চিন্নাস্বামীতে আইপিএল খেলতে এসেছেন কিং কোহলি। উদ্যান নগরীর সর্বত্র সাজসাজ রব। দ্য কিং ইজ ব্যাক!
এবং তিনি ফিরলেন। তাঁর সেকেন্ড হোমে রাজার মতোই। জোফ্রা আর্চারকে নিয়ে এত কথা হচ্ছিল। এতদিন পর ম্যাচে ফিরেছেন ইংলিশ স্পিডস্টার। কোথায় কী! জোফ্রা, বেহেরেনডর্ফ, গ্রিন, পীযূষ চাওলা, কেউ বিরাট-সংহারের সামনে রেহাই পেলেন না। ডুপ্লেসিও ছিলেন। প্রাক্তন-বর্তমান অধিনায়কের যৌথ টর্নেডোয় বিনা উইকেটে ১৪৮ রান তুলে নেওয়ার পর আরসিবি অনায়াসে ম্যাচ জিতল ৮ উইকেটে।
বিরাট যেভাবে ব্যাট করলেন তাতে ১৭১ কেন, ২৭১ হলেও আরসিবির জয় বোধহয় আটকাত না। ভয়ঙ্কর ফর্মে ছিলেন প্রাক্তন অধিনায়ক। কয়েক বছর আগে এই বিরাট আরসিবি জার্সিতে এক মরশুমে চার সেঞ্চুরি করেছিলেন। এদিন যেন তারই ইঙ্গিত দিয়ে গেলেন। শেষপর্যন্ত ছয় মেরে ম্যাচ নিয়ে গেলেন বিরাট। খেলার তখনও ২২ বল বাকি। কোহলি নট আউট থাকলেন ৮২ রানে। ডুপ্লেসির ব্যাট থেকে এল ৭৩ রান।
এদিকে, তিলক বর্মার নাম গতবারও আইপিএলে ঘোরাফেরা করেছে। কারও মনে দাগ কাটেনি। এবার কাটবে। অন্ধ্রপ্রদেশের ছেলে। বাঁহাতি ব্যাটার। পুরো নাম নাম্বুরি ঠাকুর তিলক বর্মা। রবিবাসরীয় সন্ধায় যখন চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে তিলক চার-ছয়ে ঝড় তুলছেন, হিসাবের খাতায় তরুণের বয়স ২০ বছর ১৪৫ দিন।
তিলককে নিয়ে তথ্য দিতে হচ্ছে, কারণ মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে (RCB- Mumbai Indians) একাই লড়াইয়ে নিয়ে গেলেন তিনি। রোহিত (১), ঈশান কিসান (১০), ক্যামেরুন গ্রিন (৫) ও সূর্যকুমার যাদবের (১৫) মতো মহাতারকারা ৯ ওভারে ৪৮ রানের মধ্যে ফিরে যাওয়ার পর তিলকই লড়লেন। শেষপর্যন্ত ৪৬ বলে ৮৬ নট আউট। কিন্তু শুধু রান দিয়ে তাঁকে বিচার করা যাবে না। সিরাজ, হর্ষলদের সামনে মুম্বই ব্যাটিং যখন গুটিয়ে গিয়েছে, তখন তিলক মুম্বইয়ের রানকে নিয়ে গেলেন ১৭১-এ।
আরও পড়ুন-আজ খেজুরিতে মুখ্যমন্ত্রী
আরসিবি অধিনায়ক ফাফ ডুপ্লেসি টসে জিতে আগে মুম্বইকে ব্যাট করতে দিলেন শিশিরের ভয়ে। রাতে এখানে খুব ডিউ পড়ে। কিন্তু ভর সন্ধ্যায় সেসব কোথায়? তবু সিরাজ-আকাশ-টপলিরা মিলে চেপে ধরলেন মুম্বই ব্যাটিংকে। রোহিত আইপিএলের রাজা। কিন্তু শুরুতেই ফিরলেন আকাশদীপের বলে। আকাশ রঞ্জিতে বাংলা দলের সম্পদ। আইপিএলে সুযোগ পেয়ে ৩ ওভারে ২৯ রানে ভারত অধিনায়কের উইকেট নিলেন। ঈশান, গ্রিন, সূর্যরাও সেট হওয়ার আগেই ফিরলেন। সূর্যর অফ ফর্ম আইপিএলেও ধাওয়া করেছে, এটা চিন্তার।
ডুপ্লেসি পাটা উইকেটে সাত বোলার ব্যবহার করলেন। এঁদের মধ্যে হর্ষল চার ওভারে ৪৩ রান দিলেও বাকিরা কৃপণ বোলিং করেছেন। তবু মুম্বই এই রান করতে পেরেছে তিলকের জন্য। কিন্তু সবশেষে তাঁর এই প্রয়াস উড়ে গেল বিরাট-ঝড়ে।