বাংলার বকেয়া আদায়ে তৎপর ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তিনি আগেই জানিয়েছিলেন দিল্লিতে গিয়ে তিনি বকেয়া আদায়ের দাবি জানাবেন। আর তাই করলেন। আগামী বুধবারই কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েতরাজ মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের (Giriraj Singh) সঙ্গে দেখা করার কথা জানালেন অভিষেক।
আজ, সোমবার, সকালে প্রথমে সংসদ ভবনে যান সাংসদ। সেখানে দলীয় সাংসদের সঙ্গে বৈঠক করে বেরিয়ে অভিষেক বলেন, ১০০ দিনের কাজ-সহ বাংলার প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনা নিয়ে রেড রোডে দুদিন ধর্না দেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এরপরেই তিনি জানান, বিভিন্ন প্রকল্প বিশেষ করে ১০০দিনের কাজের বকেয়া নিয়ে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন ও পঞ্চায়েতরাজ মন্ত্রীর সঙ্গে তিনি স্বয়ং দেখা করবেন আগামী বুধবার। এদিন সকালে সংসদে অধিবেশন শুরুতেই মুলতুবি হয়ে যায়। দুপুর ২টোর পর থেকে লোকসভা ও রাজ্যসভার অধিবেশন বসার কথা। দ্বিতীয়ার্থে লোকসভার অধিবেশনে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে অভিষেকের (Abhishek Banerjee)। সেখানে দেশের গণতন্ত্র ও বাকস্বাধীনতার রক্ষা নিয়ে সরব হতে পারেন তৃণমূল সাংসদ।
আরও পড়ুন: ফের মোদিরাজ্য! ধর্ষক, খুনিদের মুক্তি দিল কোর্ট
আগেই বাংলার প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনা, কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার, রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) সাংসদ পদ খারিজ-সহ বিভিন্ন ইস্যুতে সরব হয়েছেন অভিষেক। শহিদ মিনারের সমাবেশ থেকেই মোদি সরকারের বিরুদ্ধে বাংলার প্রতি বঞ্চনা আর রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগে দিল্লি চলোর ডাক দিয়েছিলেন অভিষেক। একই সঙ্গে তিনি বলেছিলেন, রাহুলের মন্তব্যকে তিনি সমর্থন করেন না। কিন্তু কোনও সম্প্রদায়কে অপমান করার অভিযোগে যদি রাহুল গান্ধীর সাজা ও সাংসদপদ খারিজ হতে পারে, তাহলে বাংলায় এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) ‘দিদি ও দিদি’ বলার জন্য তাঁর পদ খারিজ হবে না কেন? বীরবাহা হাঁসদাকে শুভেন্দু অধিকারী ‘জুতার তলায় রাখি’ বলার জন্য সাজা হবে না কেন? প্রশ্ন তুলে সরব হন তৃণমূল সাংসদ। এই নিয়ে দিল্লিতে গিয়েও আন্দোলনের ডাক দেন তিনি।
এদিকে, রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ থেকে শুরু করে আদানি-কাণ্ড নিয়ে সংসদের ভিতরে-বাইরে ধর্না-বিক্ষোভ করছেন তৃণমূল সাংসদরা। এই পরিস্থিতিতে অভিষেকের রাজধানী যাত্রা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।