প্রতিবেদন : দুর্নীতি নিয়ে ক্রমশ নিজেদের জালেই জড়িয়ে যাচ্ছে সিপিএম। ডাক্তারি পড়ায় মুখ্যমন্ত্রীর কোটা নিয়ে তৃণমূলের অভিযোগের জবাব দিতে গিয়ে কার্যত সেই অভিযোগেই সিলমোহর দিয়ে ফেললেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। শুধু তাই নয়, ডাক্তারি ছাড়াও আরও অনেক ক্ষেত্রেই যে মুখ্যমন্ত্রীর কোটা ছিল তা প্রকাশ্যে স্বীকার করে নিয়েছেন এই বাম নেতা। সুজন চক্রবর্তীর ওই জবাবের পর ফের তাঁকে নিশানা করেছে তৃণমূল। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ সোমবার ট্যুইটে এই নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেন সুজনবাবুকে।
আরও পড়ুন-নেত্রীর মমতায় আপ্লুত খেজুরি
ট্যুইটারে কুণাল বলেন, ও সুজনদা, আমার পোস্টের বিরোধিতা করতে গিয়ে তো ডাক্তারি ছাড়াও আপনাদের মুখ্যমন্ত্রীর আরও কোটার কথা বলে ফেললেন। এরপরই কুণালের প্রশ্ন, প্রথমত, আর কোন কোন ক্ষেত্রে আপনাদের মুখ্যমন্ত্রীর কোটা ছিল জানাবেন প্লিজ। আর দ্বিতীয়ত, এগুলিতে সুযোগ যারা পেয়েছে তাদের তালিকা দিন। এর আগে রবিবারই বাম জমানায় ডাক্তারিতে মুখ্যমন্ত্রীর কোটা নিয়ে প্রশ্ন তোলে তৃণমূল। মুখপাত্র কুণাল ঘোষ একটি ট্যুইটে বলেন, বামফ্রন্ট জমানায় ডাক্তারি পড়তে মুখ্যমন্ত্রীর কোটা ছিল। ২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসার পর এই কোটা সিস্টেম তুলে দেওয়া হয়। জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় না পেয়ে অনেকেই এই কোটায় ডাক্তারি পড়ার সুযোগ পেতেন বলেও অভিযোগ উঠেছিল। সিপিএমের কাছে সেই তালিকা প্রকাশ করারও দাবি জানিয়েছে তৃণমূল। এই নিয়ে সিপিএমকে তীব্র আক্রমণ করে তৃণমূল। তৃণমূলের সেই অভিযোগের জবাব দিতে গিয়ে ডাক্তারি ছাড়া আরও অনেক কোটার কথা স্বীকার করে নেন বামনেতা সুজন চক্রবর্তী।