প্রতিবেদন : হয় বিজেপির পক্ষে, না হয় বিজেপির বিরুদ্ধে, রাজনৈতিকভাবে এটাই দেশের ডাক হওয়া উচিত। মধ্যবর্তী কোনও পথ অবলম্বন করা নয়। অল ইন্ডিয়া ফেডারেশন ফর সোশ্যাল জাস্টিস-এর মঞ্চে ভার্চুয়াল মাধ্যমে উপস্থিত হয়ে এই বার্তা দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। যেসব দল এখনও বিজেপি বিরোধী মঞ্চে যোগদান করেনি তাদেরও যোগদানের আহ্বান জানালেন তিনি। এ প্রসঙ্গে ডেরেক বলেন, দুই থেকে তিনটি দল বিজেপির বিরুদ্ধে লড়তে চায় না। কিন্তু এখন অস্পষ্ট হওয়ার সময় নয়। স্পষ্টভাবে হয় সাদা অথবা কালো হতে হবে।
আরও পড়ুন-দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে স্নাতকোত্তর পঠনপাঠন শুরু
সোমবার ডিএমকে নেতা এবং তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিনের ডাকা সামাজিক ন্যায়বিচার সম্মেলনে জাতিগত জনগণনার দাবি তুললেন বেশিরভাগ বিরোধী নেতা। ওড়িশার শাসক দল বিজেডি এবং অন্ধ্রপ্রদেশের শাসকদল ওয়াইএসআর এই সম্মেলনে অনুপস্থিত থাকায় তাদেরও পরবর্তীকালে বিজেপি বিরোধী জোটে যোগদান করার আহ্বান জানিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ। জাতিগত জনগণনাকে সমর্থন জানিয়ে তিনি বলেন, এরমধ্যে দলিতদেরও আনা দরকার। জনগণনার কাজ শুরু হতে দেরি হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন এই তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ। এদিনের সম্মেলনে কংগ্রেস নেতা অশোক গেহলট, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার হেমন্ত সোরেন, এনসি নেতা ফারুক আবদুল্লা, সপার অখিলেশ যাদব, আরজেডির তেজস্বী যাদব, দুই বাম দলের, নেতারা উপস্থিত ছিলেন। আপ, বিআরএস এবং এনসিপির প্রতিনিধিরাও বৈঠকে যোগ দেন।
আরও পড়ুন-বিজেপির ভোট প্রচারে অয়নের টাকা
তিনি স্পষ্ট জানান, মেট্রোপলিটন শহরগুলির মধ্যে কলকাতায় সবচেয়ে কম অপরাধ হয়। রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের কন্যাশ্রী, বিবেকানন্দ স্কলারশিপ, রূপশ্রী, যুবশ্রী এবং সংখ্যালঘুদের জন্য বৃত্তির প্রকল্পগুলি তিনি তুলে ধরেন। ওই সম্মেলনের মঞ্চে ডেরেক জানান, কন্যাশ্রী প্রকল্পে ৮১ লাখেরও বেশি মেয়ে উপকৃত হয়েছে। অথচ কেন্দ্রীয় সরকার তাদের ‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’ প্রকল্প তহবিলের ৮০ শতাংশই ব্যয় করেছে শুধুমাত্র প্রচারে। বিরোধী দলের নেতাদের একমঞ্চে আনার জন্য ডিএমকে নেতা স্ট্যালিনকে তৃণমূল কংগ্রেস এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।