প্রতিবেদন : হাওড়া-বর্ধমান (Howrah- Bardhaman) মেন লাইনে আচমকাই রাত ১০টা থেকে সমস্ত ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয় রেল কর্তৃপক্ষ। এর জেরে সোমবার রাতে হাওড়া স্টেশনে আটকে পড়েন বহু যাত্রী। রেলের তরফ থেকে কখন ট্রেন চালানো শুরু হবে স্পষ্ট করে কিছু জানানো না হওয়ায় যাত্রীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। কি কারণে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে তাও স্পষ্ট করে রেলের তরফে যাত্রীদের কিছু জানানো হয়নি। এর ফলে যাত্রীদের ক্ষোভ চরমে ওঠে। রাত ১২টা ৫ নাগাদ হাওড়া স্টেশনের ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে একটি লোকাল ট্রেন তারকেশ্বরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। তারপর সাড়ে ১২টা নাগাদ হাওড়া-বর্ধমান মেন লাইন একটি লোকাল ছাড়ে। রেলের তরফে জানানো হয় রিষড়া স্টেশনের কাছে ৪ নম্বর লেভেল ক্রশিংয়ের গেট বন্ধ করতে না পারার কারণেই ট্রেন চলাচল প্রায় দু’ঘণ্টা বন্ধ রাখতে হয়। ফলে হাওড়া-বর্ধমান (Howrah- Bardhaman) মেন লাইনে রাত ১০টা থেকে ১২টা অবধি ট্রেন চলাচল পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর জেরে চরম ভোগান্তির মুখে পড়েন যাত্রীরা। হাওড়া স্টেশনে কার্যত উদভ্রান্তের মতো ঘোরাঘুরি করতে শুরু করেন যাত্রীরা। রেলের তরফে তাঁদের ট্রেন চলাচল কখন স্বাভাবিক হবে সেই ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট করে আশ্বাস দিতে না পারায় যাত্রীদের ক্ষোভ চরমে ওঠে। হাওড়া স্টেশনে ক্ষোভে ফেটে পড়েন যাত্রীরা। রাত ১২টার পর থেকে ট্রেন চলাচল ধীরে ধীরে শুরু হওয়ায় পরিস্থিতি ক্রমশ স্বাভাবিক হয়। পাশাপাশি পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ হাওড়া-বর্ধমান শাখায় লিলুয়া-বর্ধমানের মধ্যে রক্ষণাবেক্ষণ ও ওভারহেডের কাজের কারণ দেখিয়ে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত ১৪টি লোকাল ট্রেন বাতিল করেছে। হাওড়া থেকে প্রতিদিন ৭টি আপ ট্রেন বাতিল থাকছে। এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে হাওড়া-বর্ধমান কর্ড লাইন প্যাসেঞ্জার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক প্রণব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রেল একতরফাভাবে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়। যাত্রীদের সুবিধা-অসুবিধা ও স্বাচ্ছন্দ্যের বিষয়টি রেলের কাছে এখন আর গুরুত্বপূর্ণ নয়। রেল কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করেছি একসঙ্গে এতদিন এতগুলি লোকাল ট্রেন বাতিল না করতে।
আরও পড়ুন- বিজেপির চক্রান্ত নিয়ে সরব বিরোধীরা, কীভাবে অশান্তি পাকায় তদন্ত করলেই স্পষ্ট হবে : অভিষেক