হনুমান জয়ন্তী (Hanuman jayanti) পালন করে রাজ্যে যাতে কোনও অশান্তির ঘটনা না ঘটে তা নিশ্চিত করবে রাজ্য সরকার। এই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের পর বৃহস্পতিবার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অটুট রাখতে বুধবার সন্ধেয় নবান্নে (Nabanna) জরুরি বৈঠক ডাকেন মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। সব জেলার জেলা শাসক ও পুলিশ সুপাররা ওই বৈঠকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে উপস্থিত ছিলেন।
নবান্ন সূত্রের খবর, হনুমান জয়ন্তীর (Hanuman jayanti) শোভাযাত্রা করতে চেয়ে ইতিমধ্যে ২ হাজার আবেদন জমা পড়েছে প্রশাসনের কাছে। তার মধ্যে কোথায় কোথায় উত্তেজনা ছড়াতে পারে তা ম্যাপিং করে জানাতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে বৃহস্পতিবার রাজ্যে তিন কোম্পানি আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।কলকাতা, বারাকপুর, হুগলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে।
নবান্ন সূত্রে এও বলা হচ্ছে, যে সব এলাকায় একাধিক শোভাযাত্রা বেরোবে তাদের জন্য কমন রুট করে দেওয়ার কথা বিবেচনা করা হচ্ছে। তাতে পুলিশি নজরদারিতে সুবিধা হবে। তা ছাড়া শোভাযাত্রা কতটা পথ অতিক্রম করতে পারবে, কোন রুট ধরে যাবে তাও পুলিশই ঠিক করে দেবে। মোটামুটি ভাবে সব শোভাযাত্রার ভিডিওগ্রাফি করা হবে।
হনুমান জয়ন্তীর শোভাযাত্রা যারা করবে তাদের সবার নাম ধাম পুলিশকে জানাতে হবে। সেই সঙ্গে মিছিলের স্বেচ্ছাসেবকদের পরিচয় জানাতে হবে।
আরও পড়ুন: দিঘা প্রেস ক্লাবের উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যবাসীকে জানালেন ‘শুভনন্দন’
নবান্ন স্থির করে যে সব এলাকায় অশান্তির আশঙ্কা রয়েছে সেখানে ভিডিওগ্রাফি তো হবেই সঙ্গে অতিরিক্ত ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরাও বসানো হবে। কলকাতা হাইকোর্ট এদিন স্পষ্ট করে দিয়েছে যে হনুমান জয়ন্তীর মিছিলে কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তি যেন না থাকে। কোনও উস্কানিমূলক কথাও যাতে না বলে। সে ব্যাপারেও সজাগ দৃষ্টি রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নবান্ন থেকে।
স্পর্শকাতর এলাকায় প্রয়োজনে ১৪৪ ধারা জারি করা হতে পারে। জেলা প্রশাসনগুলিকে বলে দেওয়া হয়েছে, মিছিলে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা একশো থেকে দেড়শো জনের মধ্যে রাখতে হবে। মিছিলের অনুমতি দিতে হলে সংশ্লিষ্ট পথের নিরাপত্তা খতিয়ে দেখতে হবে। কোনও সমস্যা তৈরির সম্ভাবনা থাকলে পথ বদলের প্রস্তাব দিতে পারবেন জেলা প্রশাসনিক কর্তারা।