নয়াদিল্লি : মোদি ঘনিষ্ঠ আদানি শিল্পগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের শেয়ার কেলেঙ্কারির অভিযোগের তদন্তে যৌথ সংসদীয় কমিটি (জেপিসি) গঠনের বিরোধিতা থেকে কার্যত ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গেলেন এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার। মঙ্গলবার পাওয়ার বলেন, বিরোধী ঐক্যের স্বার্থে তিনি জেপিসি-র বিরোধিতা করবেন না। একটি মারাঠি নিউজ চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এনসিপি নেতা এদিন বলেন, আমাদের মিত্র দলগুলি জেপিসি তদন্তের জন্য জোর দিচ্ছে। বিরোধী ঐক্যের স্বার্থে আমরা এর বিরোধিতা করব না। যদিও আদানি নিয়ে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি এক্ষেত্রে কিছুটা পৃথক আমরা তাদের সঙ্গে একমত নই। কিন্তু আমাদের অবস্থান যাতে দেশে বিরোধী ঐক্যের ক্ষতি না করে তা নিশ্চিত করতে আমরা পদক্ষেপ করব। আর এই কারণে জেপিসি তদন্ত হলে আমাদের দল তাতে আপত্তি করবে না।
আরও পড়ুন-গোমূত্র মানুষের জন্য মারাত্মক, স্পষ্ট জানালেন গবেষকরা
উল্লেখ্য, গত শুক্রবারই পাওয়ার বলেছিলেন, হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টে গৌতম আদানিকে লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে। তিনি জেপিসি তদন্তের বিরুদ্ধে। এরপরই পাওয়ার-আদানি সখ্যের প্রসঙ্গ তুলে এই বিরোধী নেতাকে খোঁচা দেয় কংগ্রেস। বলা হয়, গৌতম আদানির সঙ্গে ব্যক্তিগত স্তরে সুসম্পর্ক থাকায় জেপিসি নিয়ে অনীহা শারদ পাওয়ারের। মহারাষ্ট্রের এই প্রবীণ নেতা জেপিসির বিরোধিতা করায় খুশি হয়েছিল বিজেপি। গেরুয়া শিবির প্রচার করতে শুরু করে যে, আদানি ইস্যুতে ফাটল ধরেছে বিরোধী ঐক্যে। এরপরই পাওয়ার এদিন কার্যত ডিগবাজি খেলেন। এনসিপি নেতা এদিন বলেন, সংসদে রাজনৈতিক দলগুলির শক্তির উপর ভিত্তি করে জেপিসির সদস্য সংখ্যা চূড়ান্ত করা হবে। বিজেপির ৩০০-রও বেশি সাংসদ রয়েছে। তাই ২১ সদস্যের জেপিসিতে সর্বাধিক সদস্য তাদেরই থাকবে। বিরোধী দলের সদস্য থাকবে ৫-৬ জন। অল্প সংখ্যক বিরোধী সদস্যরা কি কার্যকর ভূমিকা নিতে পারবে? তবুও, বিরোধী দলগুলি যদি জেপিসি তদন্তে জোর দেয়, তবে আমাদেরও এতে কোনও আপত্তি নেই।