প্রতিবেদন : প্রবল গোষ্ঠী-কোন্দলের জেরে কর্নাটকে বিজেপি (Karnataka- BJP) তার প্রার্থী-তালিকা প্রকাশ করতে পারেনি। মঙ্গলবার রাতে আংশিক প্রার্থী-তালিকা প্রকাশ হওয়ার পরই বিজেপিতে ফাটল ক্রমশ চওড়া হচ্ছে। এমনিতেই প্রায় সব ক’টি জনমত সমীক্ষা জানিয়েছে, দক্ষিণের এই রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় ফিরছে না। তার পরেও টিকিট পাওয়া, না পাওয়া নিয়ে গেরুয়া দলে অসন্তোষ যেভাবে বাড়ছে তাতে বিজেপি এবারের নির্বাচনে কতটা ছাপ ফেলতে পারবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
আরও পড়ুন: রাজ্য সভাপতির সামনেই দলের নেত্রীকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ
মঙ্গলবার আংশিক তালিকা ঘোষণা হতেই এত দিন ধরে চেপে রাখা অসন্তোষ প্রকাশ্যে বেরিয়ে পড়ছে। এরই মধ্যে বিজেপি ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেছেন রাজ্যের তিন হেভিওয়েট নেতা। বুধবার বিজেপি ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছেন কর্নাটকের রাজনীতিতে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পার ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত লক্ষ্মণ সাভাদি। লক্ষ্মণ বোম্মাই সরকারে মন্ত্রীও ছিলেন। তবে শুধু বিজেপি ছাড়াই নয়, এই লিঙ্গায়েত নেতা কার্যত বিজেপিকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছু়ঁড়ে দিয়েছেন। প্রার্থী না করায় বিজেপি তথা রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন কর্নাটকের প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রী কে এস ঈশ্বরাপা। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগদীশ শেট্টারকেও এবার টিকিট দেয়নি বিজেপি। টিকিট না পেয়ে প্রবল ক্ষুব্ধ জগদীশ দিল্লি যাচ্ছেন। সেখানেই তিনি শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে হেস্তনেস্ত করতে চান তিনি।
আংশিক তালিকা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই কর্নাটক বিজেপিতে (Karnataka- BJP) অসন্তোষের আগুন জ্বলছে। শুধু হেভিওয়েট নেতারাই নয়, নিচু স্তরে নেতা কর্মীদের মধ্যেও বিজেপি ছাড়ার হিড়িক পড়েছে। যে-হারে বিক্ষুব্ধদের সংখ্যা বাড়ছে, তাতে কপালের ভাঁজ আরও চওড়া হচ্ছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের। কারণ তাঁরা বুঝে গিয়েছেন যে, দলীয় অন্তর্দ্বন্দ্ব যে হারে বাড়ছে তাতে কর্নাটকে মুখরক্ষা করাই ভার হবে। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে যা বিজেপির কাছে অশনিসংকেত। দলের বিক্ষুব্ধদের পাশাপাশি রয়েছে বিজেপির প্রবল দুর্নীতি। যা বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানবিরোধী হাওয়া আরও প্রবল করেছে। সব মিলিয়ে কর্নাটক ধরে রাখার স্বপ্ন বিজেপির কাছে ক্রমশই মরীচিকা হয়ে উঠেছে। আপাতত প্রার্থী-কাজিয়া মেটাতেই ব্যস্ত বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব।