প্রতিবেদন : ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Election) পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বরাদ্দ থেকে বঞ্চিতই থাকবে রাজ্য। তবে তিনি কোনওভাবে দিল্লির সরকারের কাছে মাথা নত করবেন না বলে ফের স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার কলকাতার আলিপুরে নতুন ধনধান্য অডিটোরিয়ামের (Dhana dhanye auditorium) উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata Banerjee) ফের কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে সরব হন।
তিনি বলেন, সীমিত আর্থিক ক্ষমতার মধ্যে সব করার চেষ্টা করি। আমাদের অনেক টাকা আটকে রাখা হয়েছে। শুনেছি ২০২৪ অবধি টাকা দেবে না। না দিক, ঠিক চালিয়ে নেব। দরকার হলে শাড়ির আঁচল নিয়ে ভিক্ষে চাইব মায়ের কাছে। কিন্তু দিল্লির কাছে ভিক্ষে চাইতে যাব না।
অপরদিকে, ইতিহাস বিকৃতির প্রসঙ্গেও নাম না করে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের সমালোচনা শোনা গেছে মুখ্যমন্ত্রীর গলায়। কোনও প্রসঙ্গ না তুলে তিনি এদিন বলেন, আমরা হঠাৎ করে তাজমহল উঠিয়ে দেব না। আমরা হঠাৎ করে ভিক্টোরিয়া উঠিয়ে দেব না। ইতিহাস ইতিহাসই। তা পরিবর্তন করার ক্ষমতা কারও নেই। ভারতের ইতিহাস ভারতের সম্পদ। ভারতের সর্বধর্ম বাংলার সম্পদ। রামকৃষ্ণ, বিবেকানন্দ, রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল না থাকলে হত না। অতিসম্প্রতি কেন্দ্রীয় বোর্ডের সিলেবাস থেকে একাধিক কাটছাঁট নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। এনসিইআরটির পাঠ্যবই থেকে মুঘল ইতিহাস এবং গান্ধীহত্যার প্রসঙ্গ বাদ দেওয়া হয়েছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার জন্য মহাত্মা গান্ধীর চেষ্টাকে হিন্দুত্ববাদীরা ভালবেসে নেয়নি, সেই অধ্যায়টি বাদ গিয়েছে। এবার এনসিইআরটি-র রাষ্ট্রবিজ্ঞানের পাঠ্যবই থেকে বাদ গিয়েছে মৌলানা আবুল কালাম আজাদের নাম। নাম না করলেও এদিন মুখ্যমন্ত্রী সমালোচনার অভিমুখ এই দিকেই ছিল বলে মনে করা হচ্ছে।
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে রেড রোডে ধরনা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে যাদবপুর, কলকাতা ও প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল পড়ুয়ার গান যে তাঁর মনে বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে, এদিন সে-কথাও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ওদের গান শুনে আমার খুব ভাল লাগল। আমি সেই কারণে ওদের বাংলা ব্যান্ড তৈরি করার কথা বলেছি।