আর পাঁচটা দিনের থেকে একটু অন্যরকমের লাগছে বর্ধমানের মহাজনটুলি! চারিদিকে আম আর নিম ডালের নতুন পাতা দিয়ে সাজানো। রাস্তার মোড়ে মোড়ে এদিন তেমন রংমাখা মুখে দেহজীবীরা দাঁড়িয়ে নেই। তবে যে বছরের প্রথম দিনের দেহের অতিথি এলে ফেরান না তাও স্পষ্ট করলেন দেহজীবী সুমি!
আরও পড়ুন-ব্রুকের মঞ্চে খাটল না রিঙ্কু ম্যাজিকও
জীবনের নানাপর্বে বেঁচে থাকার জন্যেও তাঁদের মনে রাখতে হয়। তাঁরা যে মায়ের জাত! মাটির মমতায় গড়া জীবনের এই লড়াইয়ে তাঁদের দেহ নিয়ে সংগ্রাম আর পেটের তাগিদে দেহকে হাজির করানো বড় কঠিন কাজ! মায়ার সংসারে তাঁদের দেহ নিয়ে বাঁচতে হয়। যদিও এ-সমাজের মানুষ তাঁদের কেবল ভোগ্যবস্তুর মতোই দেখে আজও। অতীতেও দেখেছে, আরও তীব্রতার সঙ্গে। এই চিরন্তন সারবস্তুর ধারণা থেকে আমাদের সরে আসার মানুষ নেই, তেমন মনও নেই এখনও! তেমন মনের জন্ম হবে কি না, সে নিয়েও বিস্তর প্রশ্ন থাকতে পারে আজকের সমাজে। তবে চেষ্টার অব্যাহতি থাকবে না। চলবে দুর্নিবার লড়াইও। আমি দেহজীবীদের যৌন হয়রানি দেখেছি। কয়েকজন ক্ষমতাশালীর আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রণে নিয়ন্ত্রিত এই পল্লির পরিবেশে তাঁদের যুদ্ধ করে বাঁচতে হয়। শারীরিক ও মানসিক যুদ্ধজয় করা কম কথা নয়। সেটা পারে এখানকার মায়েরা! আজকের দিনে প্রায়ই সকালে উঠে শুনতে হয় কাগজে কিংবা টেলিভিশনে, যৌনকর্মীর রহস্যমৃত্যুর কথা! পিছনে দীর্ঘ চক্রান্ত! ক্রমশ প্রকাশিত হয় তদন্তে খুনের গল্প যৌনপল্লিগুলোতে। তবে কয়েক বছরের এই ধারাবাহিক হত্যারহস্যে এবার ইতি ঘটেছে। বর্তমান সরকার নানা ভাবে তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে সাহায্য করছে। বিভিন্ন সচেতনতা শিবির করে, তাঁদের সচেতন এবং চিকিৎসার ব্যবস্থাও করা হয়।
আরও পড়ুন-নৈতিক আচার্য হলেন মুখ্যমন্ত্রীই, হয় সই করুন নইলে বিল ফের পাশ করাব, সাফ কথা ব্রাত্যর
এমন অবহেলার জীবনেও প্রেম, ভালবাসা এবং জীবনবোধ থাকতে পারে, তা কাছ থেকে না দেখলে জানতে পারবেন না। গল্পের গদ্যের জীবনেও কবিতার জন্ম হয়, তা আমি দেখেছি। আমিও কি পারতাম এতসব জানতে? আফগানিস্তানের মতো শরীর নিয়ে তাঁদের অপেক্ষা, অপরাধ এবং যৌনহীন শীতল ক্রিয়াই তাঁদের বেঁচেবর্তে থাকার সার্বিক চালচিত্র সম্পর্কে। সেই তাঁদের পাড়ার গল্প! গল্পই এখানকার জীবন। তবে জীবনের সাহিত্য এখানে জটিলেশ্বর। বছর শুরুর দিন! সেই দিনের, সেই লড়াই, আমার কাছ থেকে দেখা। তাঁদের বৈশাখ শুরু হয় পথশিশুদের খাইয়ে ও দানখয়রাত করে। আর রাতে ঘরে ঘরে কেউ কেউ এখনও উলঙ্গ শরীরে কান্নাকাটি করে ইষ্টদেবতার চরণাশ্রয়প্রার্থী হয়ে। চোখের জলে ভাসান বসনমাটি। বছর শুরুর বৈশাখের প্রথম দিনটিতে ঠাকুর রামকৃষ্ণ ও নাট্যকার গিরিশচন্দ্র ঘোষের পুজো করেন কেউ কেউ বসতির ছোট খুপরিতে, একা একা।
আরও পড়ুন-রাজ্যের ন্যায্য প্রাপ্য ১.১৫ লক্ষ কোটি টাকা ফেরত দিন, আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব: শাহকে বিঁধে অভিষেক
এই রীতি আজও চলে আসছে দেহজীবীদের পল্লিতে পল্লিতে। বর্ধমানের চিত্রাবলিদের পাড়ায় গিয়ে আমি, সে-কথা শুনে এসেছি। দেখে এসেছিও। এখনও পূর্ণিমা রাতে বর্ধমান শহরের স্টেশনচত্বর জ্বলে ওঠে তাঁদের আলোতে। একদিন তাঁদের নিত্যকলায় মজে ছিল বর্ধমানের রাজারাও! ইতিহাসের শহর, রাজা-রাজড়াদের শহর ‘বর্ধমান’। আমাকে স্টেশন থেকে সুবল রিকশাওয়ালা নিয়ে যায় ওদের পাড়ায়। সে এ-পথের বাঁধা কাহার। সে-ই বলল, শেষ রাতে চাঁদের হাট বসে বাবু ওখানে। গলি আলো করে দাঁড়িয়ে থাকে লছমি, মুন্না, তনয়া ও মুনিয়া, সুমিরা। এ-গলি, ও-গলি— তস্য গলি জুড়ে সাজামুখে দাঁড়িয়ে আছে রঙের পশরায়। আমি রিকশা থেকে নেমে সুবলের পিছু-পিছু হাঁটছি, সাধনা প্রেসের দীর্ঘ গলিপথ ধরে। পাড়াতেই হাট বসেছে, প্রেম ও পাপের! অর্ধেক ভারতবর্ষের আকাশ এমনিতেই যেন দেখা যায় গলি জুড়ে। এ এক অন্যজগৎ। মনের ও বনের। মনের ডিসেম্বর, হঠাৎ কেমন জুলাইয়ে পৌঁছে যায় এখানে। একটি দোতলা বাড়ি, তার ফটক গলে দাঁড়িয়ে থাকা এক অষ্টাদশী। ক্যালেন্ডারের মতো টানটান বুক, দেওয়ালের পিঠে ফুলতোলা ফিতের ফাঁসে আলগা গিঁট। মুন্নিজান, আমাকে উদ্দেশ্য করে বলে, ‘‘আশা হারানো জীবন বাপু, তাই উল্লাসেই থাকি। ভুলে থাকি, শৈশববেলা, জীবনের সেই না-হারানো দিনগুলো! রং মাখি, সঙের জীবনে।’’ তারপর চিৎকার করে একটা গালি দেয়। ওই ন্যাংটা ঈশ্বরের প্রতি, ওদের যত রাগ, অভিমান তাঁর প্রতি। চিৎকারের শব্দে পাড়াটা ভেজার আগেই নিভে যায় রাস্তার আলো। তখন অন্ধকারে জ্বলে, সাজগোজের চোখ আর লাল-করা দুটি ঠোঁট। চিক চিক করছিল চোখের রুপোলি আঁকা পাতাগুলো।
আরও পড়ুন-এবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে তলব সিবিআইয়ের
মনে মনে ওদের ফাল্গুন দেখানোর ইচ্ছে, অথচ গ্রীষ্মের লেলিহান শিখার দাপটে পাপড়ি শুকনোর অবস্থা। শরীরের দোষ কী, সে কি আর পারে বইতে এত বড় জীবনের ভার! আবার চিৎকার। পাশের গলিতে বয়স ৪৫-৪৬। রুমকি দাঁড়িয়ে! এ-পাড়ায় এ-নামেই সবাই তাঁকে চেনে, জানে। ‘‘পোড়ামন, কথা শোনেনি বাবু, বাপের মুখে নুড়ো জ্বেলে সেই রাজমিস্ত্রির প্রেমে পড়ে আঁধারে বাড়ি ছেড়েছিলাম। আর ফেরা হল না! এখন গতরখাগি হয়ে বেঁচে খায়। অভর পেট ভরে না!’’ কথাগুলো বলতে বলতে দু’চোখ ভিজে আসে। আমাকে না ধরা দেওয়ার বাহানায় এড়িয়ে যায়— ‘‘কী করবে আমাদের পোড়া জীবনের পাঠ শুনে!’’ বর্ধমানের জেলা শহরের মহাজনটুলি, আসানসোল শহরের লছিপুর কলোনি, কালনা শহরের গলি, দুর্গাপুরের কাঁদা রোড, সেই সঙ্গে বীরভূমের বোলপুর লাগোয়া বল্লভপুরের চিরকুটিবন, সিউড়ি স্টেশনের তালতলা বস্তি, কলকাতার হাড়কাটা গলি কিংবা সোনাগাছি, কার না অচেনা। প্রথম যৌবনে নিরাপত্তার চাদর ঝুলিয়ে কে না সেখানে যায়? অল্প-বিস্তর সে-নিয়ে চর্চাও করে বেশকিছু মানুষজন। তবে তা লুকিয়ে, জীবন ও সমাজের স্বাভাবিকতার বাইরে! স্ট্যাপলিং মারা কাগজ পড়ে, অনেকেই যান তাঁদের দেহমন্দিরের চৌকাঠ পেরিয়ে। মনের অজান্তে দেহে, কিংবা দেহের অজান্তে মনে বৃষ্টি পড়ে। এ-চর্চা চলছেই, চলবেও চিরকাল। সে যুগ থেকে, এ-যুগেও!
আরও পড়ুন-অধ্যক্ষের নিশানায় বিচারপতি!
আগামীতেও চলবে! বর্ধমান শহরের সেই বারবিলাসিনীদের বসবাস ক্ষেত্র মহাজনটুলির গলি। যার সঙ্গে এখনও জড়িয়ে আছে রাজঅন্তঃপুরবাসিনী দলের কান্না। রীতাবাই, আঙুরবাই, লছমিবাই বেশ্যাদের কান্না-ভেজা শরীরের রক্ত, মহাজনটুলির গলিকে করেছে বিষাক্ত। ইতিহাসের কালো অধ্যায়। আজও মাসিবৃত্তির যৌনচারীদের এই পেশায় না বুঝেই চোরাস্রোতের পালে এসে পড়ে কত অসহায় মেয়ে। সরকার নজর রাখে। মূল স্রোতে ফেরানোর চেষ্টা চালায়। তবুও কান্নার স্রোত ঢেকে দেয় অন্ধকারের হাইওয়ের নগর সভ্যতার মুখ। ‘‘সমস্ত ভারতবাসীর দেহ মন ছুঁয়ে আমরাই আছি গো বাবু! আমরাই গোটা ধর্মের ভারতবর্ষ।’’ আমি আবার চমকে উঠি। কে বলল কথাগুলো?
আরও পড়ুন-এগিয়ে থেকেও জয় অধরা ইস্টবেঙ্গলের
পাখমারা গলির মুখটি অনেকটা সরু হয়ে গেছে। একটি নার্সিংহোমের হোর্ডিং ঢেকেছে এই অচেনা অজানা ভারতবর্ষকে। ‘‘আমি নয়নতুলি দাসী। দাসীবৃত্তি নয় গো, আমি দেহদাসী! কৃষ্ণের নই গো, বাবুদের!’’ হা-হা করে হেসে ওঠে। ‘‘নাগর, কোথা রইলে হে/ জল লেগেছে, তোমার বাকুরি খেতে…’’ গেয়ে উঠল দাস রাধাময়ের গান। আর সেই ভুবনভোলানো হাসি! আমার ভিতরের লড়াইয়ে আয়না এসে থেমেছে যেন। প্রতিবিম্ব দেখবে বলে আর দেখাবে বলে। এই জীবন, না পাওয়ার জীবন, এই জীবনের নানা রঙের কারিগর কখন যে হাওয়ার গতিবেগের ঝড়ে গন্তব্য ভুলিয়ে দেয়, বোঝা কঠিন বাপু। তবুও এরা বাঁচে, বাঁচার লড়াইয়ে দেহদান করে, বেশ্যা হয়েছে, নর্তকী হয়েছে, হোটেল গার্ল হয়েছে। এখনও হচ্ছে। পল্লিতে পল্লিতে অনেকেই বিপিএল কার্ডের মতো সহজেই উপরে উঠে আসে দু’দিন আলো বাজে আলোর ছটায়। আবার নেমেও যায়। কখন কোন পরিকল্পনা জুটবে, উপরওয়ালার আদেশে, তা কেউই জানে না! ‘‘অতশত বুঝি না গোসাঁই, পরন খুলে খায়। তোরও ভেজে আর আমিও ভেজাই, দেহের জ্বলায়!’’
আরও পড়ুন-নয়া বাঘারুর কীর্তি
সে-সময় বর্ধমান শাসন করছেন বর্ধমানের রাজা উদয় চাঁদ, বিজয় চাঁদ, কীর্তি চাঁদ মহারাজরা। রাজবাড়ি নির্মিত হয়েছে ১৮৫৩ নাগাদ। মহাজনটুলি লেনের সামনে রাজাদের ট্যাক্স বাড়ি ও অতিথিশালাই নষ্টামোর মূল। এখন যা জেলা ভূমি দফতরের করণ। রাজসভার করের টাকা নিয়ে জমিদার ও তাঁর নায়েব, পত্তনিদার, ইজারাদার, তহশিলদাররা এসে উঠতেন ট্যাক্স বাড়ির কাছে, অতিথিশালায়। আর তাঁদের রাত্রিকালীন বিনোদনের জন্য রাজকর্মীদের নির্দেশে পাঠানো হত বাইজিদের এই গলিতে। খানাপিনার ব্যবস্থা হত রাতে। হুল্লোড় সংস্কৃতি চলত অধিক রাত পর্যন্ত। পরে সেই বাইজিদের একটি অংশ মহাজনটুলির গলিতে বারবিলাসিনীদের পশরা সাজিয়ে শুরু করেছিল দেহব্যবসা, তা আজ ইতিহাস— বর্ধমানকে আঁকড়ে ধরে থেকে গেছে। একদা এই পল্লির রসেই মজে ছিলেন কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় ও নাট্যকার গিরিশচন্দ্র ঘোষেরা— সে এক অন্য হাটের কথা। বর্ধমান শহরে, বীরভূমের সিউড়িতে ও আসানসোলের লছিপুর কলোনির গলিতে নতুন বৈশাখের পয়লা তাঁরা কাউকে দেহ দান করেন না তেমন। তবে অগত্যা কেউ এলে ফেরাতেও চান না! এখনও পুরনো দেহীরা মানেন এই দিনটিকে। নবীনারা উল্টান রীতির পাতা ভেঙে। এদিন তাঁরা ইষ্টদেবতার স্মরণে পুজো-আচ্চা করেন। বাড়ি বাড়ি পথশিশুদের খাওয়ানোর আয়োজন করেন। সেই সঙ্গে ওইদিন গরিব এমনকী ভিখারিদেরও দান করেন বারবিলাসিনীরা সমবেতভাবে। বর্ধমান শহরের মহাজনটুলির গলিতে তাঁদের দানের টাকায় এখানে একটি সমবেত চণ্ডীপুজো হয়ে আসছে সেই কবে থেকে। এই গলির ইতিহাসের বয়সও কম হল না শহরের সঙ্গে সঙ্গে। প্রায় দুই শতাধিক বছরের পুরনো এই মহাজনটুলির বয়স।
আরও পড়ুন-বেলুড় মঠে রাজ্যপাল
বর্তমানে অনেকেই এই পেশা ত্যাগ করে অন্য পেশায় চলে যাচ্ছেন। সামাজিক পরিচয় লাভও হয়েছে অনেকের এ-গলি থেকেই। কয়েকটি এনজিও এঁদের পল্লির শিশুদের জন্য চিকিৎসা, স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও খাদ্য সরবরাহের পাশাপাশি পড়াশোনা করানোর বিষয়েও উদ্যোগী ভূমিকা নিয়েছে। তাঁদের চিকিৎসা ও যৌনক্রিয়ায় সচেতনতা দানের জন্য এই সময়ে দাঁড়িয়ে অনেক সংস্থাই এগিয়ে আসছে। এসেছে ‘দুর্নিবার’ নামের সংগঠনটি। বিদেশি কয়েকটি সংস্থাও কাজ করতে শুরু করেছে এদেশে দেহজীবীদের নিয়ে। এই ব্যবসা ছেড়ে আজকাল অনেকেই চলে যাচ্ছে অন্য পেশায়। তাঁদের এ-বিষয়ে বক্তব্য, ‘‘আজ আমরা পরিচিত দেহ নিয়ে, ব্যবসা করে বাবু। এখন অনেকেই এই পেশা নিয়ে আমাদের জীবন যাপন নিয়ে কাজ করতে এগিয়ে আসছেন, তবে তা-ও হাতে গোনা! বাবুরাও এখন প্রকাশ্য দিবালোকে আমাদের কাছে আসতে ভয় পায়। প্রচার, লোকলজ্জার ভয়। তাই আমাদের নিয়ে লজে, হোটেলে, রিসর্টে যায়। তবে সেখানে তো আর সবার ডাক পড়ে না। সেখানে যাওয়াতেও ভয় রয়েছে অনেকের।” কারণ হিসাবে তাঁদের অনেকেরই বক্তব্য, ‘‘দেহ নিয়ে বাবু আর কী করি। আবার সেই দেহদানের ছবি তোলা হয় গোপন ক্যামেরায়। দেশ-বিদেশে বিক্রি হচ্ছে, আমাদের খোলা শরীর। এটা আমরা চাই না। আমরা তো মানুষ, ভাদরের কুকুর নই।’’
আরও পড়ুন-সতর্ক মোহনবাগান
রুমকি বাইজির কথায় চমকে উঠি আমি। বোধ আর চেতনা খেলা করে যায় তাঁর চোখে। অন্যদিকে বাঁক বদলে যাচ্ছে, বারবিলাসিনীদের চিরায়ত সংস্কৃতির পশরাটির! আজকের মহাজনটুলি গলির অনেক দেহজীবীদের ছেলে-মেয়েই সুপ্রতিষ্ঠিত বাণিজ্যে, চাকরিতে, সমাজের নিত্য আবেদনে। কয়েকজন নার্সিং ও ডাক্তারিও পড়ছেন। হয়েছেনও কয়েকজন ডাক্তার এ-গলি থেকেই। তাই আজও পয়লা বৈশাখ বর্ধমানের মহাজনটুলি গলি উজ্জ্বল হয়ে ওঠে প্রেম ও প্রত্যাশার আগুনে। তাঁদের এই অসম লড়াইকে আমাদের কুর্নিশ জানাতেই হয়!