প্রতিবেদন : হ্যারি ব্রুকের ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই এবার নাইটদের মাথায় হিটম্যান। নিজের দিনে রোহিত শর্মা কী করতে পারেন, সেটা নীতীশ রানা, চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত বিলক্ষণ জানেন।
আরও পড়ুন-নববর্ষে সরগরম বইপাড়া
সূর্যকুমার যাদব রানে নেই। ঈশান কিসানও তাই। কিন্তু তিলক ভার্মা ভয়ঙ্কর মেজাজে খেলছেন। আগের ম্যাচে টিম ডেভিডও রান পেয়ে গিয়েছেন। ডেভিড স্পেশালিস্ট টি-২০ প্লেয়ার। সুতরাং রবিবার রোহিতদের ডেরায় কেকেআরের জন্য শক্ত চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করে আছে।
ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে মুম্বই ম্যাচ বরাবর নাইটদের জন্য ইজ্জত কি সওয়াল। শাহরুখ খান তাঁর ছেলেদের কাছে এই ম্যাচে জয় চেয়ে এসেছেন। এখন জমানা বদলেছে। মুম্বই ক্রিকেট সংস্থার সঙ্গে ঝামেলা মিটেছে। তবু আরব সাগরের তীরে এই ম্যাচ নিয়ে উত্তাপ রয়েছে।
পরপর হারের পর মুম্বই সব জয়ে ফিরেছে। সেই তুলনায় ভাল জায়গায় কলকাতা নাইট রাইডার্স। তারা আরসিবি ও গুজরাট টাইটান্সকে হারিয়েছে। শুধু কাঁটা বলতে শুক্রবার সানরাইজার্সের কাছে হার। তবু মুম্বই যেখানে মোটে একটি ম্যাচ জিতেছে, সেখানে নাইটদের জয় দুটিতে। শেষ দুই মুম্বই ম্যাচেও তারাই জিতেছে।
আরও পড়ুন-মেহুল প্রত্যর্পণে বড় ধাক্কা খেল কেন্দ্র, সিবিআই, ইডির ব্যর্থতা
কেকেআরের ইডেনে হারের সঙ্গেই জুটেছে আরেক বিড়ম্বনা। সেটা দ্রে রসকে নিয়ে। সানরাইজার্স ম্যাচে রাসেলকে খুঁড়িয়ে মাঠ ছাড়তে দেখা গিয়েছে। তিনি ওভার শেষ করতে পারেননি। পরে ব্যাট করতে এসেছিলেন বটে, তবে ৬ বলে ৩ রান করে উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে গিয়েছেন। শেষ তিন ম্যাচে রাসেলের রান ০, ১ ও ৩। চিন্তার বিষয় অবশ্যই। বোলার রাসেলকে শুক্রবার পাওয়া গেলেও ব্যাট হাতে টানা ব্যর্থ তিনি। যা নিয়ে নীতীশ বলছেন, একটা ইনিংসে রান পেলেই পুরনো রাসেলকে দেখা যাবে। আর চোট? নাইট অধিনায়ক চোটের কথা মানছেনই না। বললেন, ‘‘এটা চোট নয়। গরমে পায়ে টান ধরেছে। বিশ্রাম নিলেই ঠিক হয়ে যাবে।” তবু রাসেলকে নিয়ে উদ্বেগ থাকছে। যেমন বোলিং নিয়েও। ব্যাটাররা লাগাতার দুশো তুলে দিচ্ছেন, কিন্তু বোলিংয়ে ধারাবাহিকতার লেশমাত্র নেই! সানরাইজার্স ম্যাচে নারিন ৪ ওভারে ২৮ রান দিয়েছেন। কিন্তু বিস্তর পিটুনি খেয়েছেন বরুণ, সুয়শরা। ওয়াংখেড়েতে পাটা উইকেট পাবেন এই বোলাররা। সেখানে রোহিতদের থামানো অবশ্যই একটা চ্যালেঞ্জ হতে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন-জি-২০ সম্মেলনের জেরে দিল্লিতে বিপন্ন রূপান্তরকামীরা
টপ অর্ডারে গুরবাজ ভাল শুরু করেও এখন রান পাচ্ছেন না। আগের ম্যাচে ভেঙ্কটেশও রান পাননি। নীতীশ আর রিঙ্কুর জোড়া হাফ সেঞ্চুরিতে লড়াইয়ে ছিল কেকেআর। তবে মুম্বইয়ের মাটিতে মুম্বইকে হারাতে গেলে একক নৈপুণ্যে হবে না। খেলতে হবে একটা দল হিসাবে। বিশেষ করে রোহিতরা যখন জয়ের স্বাদ পেয়ে গিয়েছেন। এবার ওদের থামানো কঠিন।