প্রতিবেদন : বড়মাপের অগ্নিকাণ্ডের কালো ধোঁয়ায় ঢাকা আগুনের মূল উৎস খুঁজে বের করতে এবারে ড্রোন উড়াবে দমকল। আগুন নেভাতে প্রয়োজনে জলও ছেটানো হবে ড্রোন (Drone) থেকে। ঘিঞ্জি এলাকায় আগুনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এই প্রযুক্তি বিশেষ সুফল দেবে বলে মনে করা হচ্ছে। আগুন আয়ত্তে আনতে ইতিমধ্যেই রোবট নামানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এবারে দমকলের আধুনিকীকরণে এক বিশেষ মাত্রা যোগ করতে চলেছে এই ড্রোন (Drone)। দমকলের এক আধিকারিকের কথায়, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় দমকল বাহিনী সঠিক সময়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাজ শুরু করা সত্ত্বেও আগুন আয়ত্তে আনা সম্ভব হচ্ছে না শুধুমাত্র একটাই কারণে, খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না আগুনের উৎস। আবার অনেক সময় দেখা গিয়েছে, আপাতদৃষ্টিতে আগুন নিভে গিয়েছে বলে মনে হলেও তখনও ধিকিধিকি আগুন জ্বলছে লুকিয়ে থাকা উৎসে। ঠিক এই জায়গাটাতেই অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা নেবে ড্রোন এবং রোবট। তিলজলা, তপসিয়া, টেংরার মতো ঘিঞ্জি বস্তি এবং কারখানা এলাকায় অগ্নিকাণ্ডে এই সমস্যাটা দারুণভাবে মোকাবিলা করতে হয় দমকল বাহিনীকে। অতীতে চাঁদনি এলাকার অগ্নিকাণ্ডেও একই সমস্যা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে বহুতল বাড়িতে আগুন লাগলে আগুনের উৎসস্থলে পৌঁছতে দমকল কর্মীদের খুবই বিপদের মুখোমুখি হতে হয়। গুদামের অগ্নিকাণ্ডে এই সমস্যাটা আরও গভীরে। সেই কারণেই ড্রোন উড়িয়ে আগুনের উৎসস্থল জেনে নিয়ে লড়াইটা আরও জোরদার করা দমকল বাহিনীর মূল লক্ষ্য। দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু সম্প্রতি এক কর্মশালায় বিশেষ জোর দিয়েছেন দমকলের আধুনিকীকরণের উপর। এরই অঙ্গ হিসেবে ছ’টি হাইড্রোলিক ল্যাডার আনা হয়েছে, যা ৬৮ মিটার উঁচুতে উঠে আগুনের বিরুদ্ধে লড়াইতে সাহায্য করবে। মন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, অনুমতি বা ফায়ার লাইসেন্স ছাড়া কোনও কারখানা বা গুদাম চললে কড়া ব্যবস্থা নেবে সরকার। পাশাপাশি অগ্নিকাণ্ড সম্পর্কে গণচেতনা জাগিয়ে তোলার উপরেও বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন- মহারাষ্ট্রে শাহর সভায় প্রবল গরমে মৃত ১৩