প্রতিবেদন : দুঃসহ গরম। আর এই গরমেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বহু মানুষ। এর জেরে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎতের চাহিদা বেড়েছে। ট্রান্সফর্মারের লোড পর্যাপ্ত না থাকায় অতিরিক্ত এসি চলায় বিদ্যুৎ লাইন ট্রিপ করে যাচ্ছে। এর ফলে ব্যাহত হচ্ছে বিদ্যুৎ পরিষেবা। বহু জায়গায় ট্রান্সফর্মারে আগুন ধরে যাচ্ছে। আবার দুঃসহ গরমে ছিঁড়ে যাচ্ছে তারও। তবে ডব্লুবিডিসিএলের কর্মীরা অভিযোগ পেলে সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ করছেন। দ্রুত মেরামতি করে স্বাভাবিক করে দিচ্ছেন বিদ্যুৎ পরিষেবা। অভিযোগ, আগাম অনুমতি নিতে হয় গ্রাহকদের এসির জন্য। এক্ষেত্রে অনেকেই তা মানছেন না। ফলে লোড বেড়ে যাচ্ছে। লাইন ট্রিপ করছে ঘনঘন।
আরও পড়ুন-কেন্দ্রকে বাতিল করতে হবে শ্রম আইন
বিদ্যুৎ সংস্থার ইঞ্জিনিয়ারদের বক্তব্য, রবিবার সন্ধ্যার পর থেকে আচমকা সমস্যা বেড়ে যায়। গরম থেকে বাঁচতে অনেকেই এসি নিয়েছেন। কিন্তু সেগুলির ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়নি। এর ফলে ট্রান্সফর্মারে ‘আননোন লোড’ বেড়ে যায়। স্বাভাবিকভাবেই সেগুলি ট্রিপ করে যায়। কেবলেও আগুন লেগে যায় অত্যধিক লোডের ফলে। তবে রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন নিগমের মোবাইল ভ্যান অভিযোগ পেয়েই দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে। কলকাতা পুরসভার ৯৩ নম্বর ওয়ার্ডে দাশনগর ও গোবিন্দপুরে সন্ধ্যা থেকে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হয়। রাত সাড়ে বারোটার পরও তা মেরামত না হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষোভ গিয়ে পড়ে সিইএসসি-র উপর। কিছু মানুষ পরিস্থিতি জানাতে রাতেই গিয়ে হাজির হন স্থানীয় কাউন্সিলর মৌসুমী দাসের বাড়িতে। কাউন্সিলর জানান, বিষয়টি কেএমসি বা রাজ্য সরকারের অধীনে নয়। পুরোপুরি বেসরকারি সংস্থা সিইএসসি-র আওতায়। তবুও সন্ধ্যা থেকে তিন-চারবার দ্রুত মেরামতের দাবি জানিয়ে ডিস্ট্রিক্ট ইঞ্জিনিয়ারকে ব্যবস্থা নিতে বলেছি।