প্রতিবেদন : প্রচণ্ড গরমে বিপর্যস্ত জনজীবন। একই সঙ্গে আশঙ্কার সম্মুখীন রাজ্যের কৃষিক্ষেত্র। দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় জলের অভাবে শুকিয়ে যাচ্ছে ফসল। বিপদ বাড়িয়েছে প্রবল তাপে বিভিন্ন জলাধারে সঞ্চিত জলস্তর নেমে যাওয়া। সেচের জল যোগানের ক্ষেত্রেও তৈরি হচ্ছে সমস্যা। এমত অবস্থায় কৃষকদের নিজেদের ফসলের আরও যত্নবান হতে পরামর্শ দিল রাজ্যের কৃষি দফতর। বেশি গরমের জন্য ধানক্ষেতে রাতে জল দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন-বিরাটকে টেক্কা ধোনির, জিতে তিনে সিএসকে
তিনি বলেন, গরমকালে দিনের বেলায় জল দিলে মাটি দ্রুত জল টেনে নিচ্ছে। সেই জল কৃষির কাজে লাগছে না। রাতে জল দিলে এই সমস্যা হবে না। তাছাড়া পাম্প চালিয়ে জল তোলার জন্য যে বিদ্যুৎ লাগে, রাতে সেই বাবদ খরচও অনেক কম হয়। যে সব জায়গায় জলাধারে জল কম আছে বা পুকুর শুকিয়ে গিয়েছে, সেখানে ক্ষুদ্র সেচের ওপরে জোর দিতে বলা হয়েছে। অর্থাৎ ডিপ টিউবওয়েল, স্প্রিংলারের সাহায্যে ওই সব জায়গার সেচের ব্যবস্থা করা হবে। বোরো ধান এখন পেকে গিয়েছে। ভুট্টাও পেকে গিয়েছে। বৃষ্টি না হলে ধান বা ভুট্টার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হবে না। কিন্তু আম বা পাট চাষের ক্ষেত্রে সমস্যা হবে। বৃষ্টি না হলে পাকার আগেই আম ঝরে যাবে। ক্ষেত থেকে পাট তুলে ডোবার জলে পচাতে হয়। বৃষ্টি না হলে সেই সুযোগ পাওয়া যাবে না। সেচ দপ্তর সূত্রে খবর, পাঞ্চেত, মাইথন ও ম্যাসাঞ্জোর ড্যামে জল কম আছে।ব্যবহার করার জন্য যেটুকু জল আছে, তা কেবল কংসাবতী ব্যারেজে।