প্রতিবেদন : ফের বাংলাকে বঞ্চনা। যোগ্যতা অর্জন করেও বাংলাকে কোনও পুরস্কার দিল না কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। গোটা দেশের কাছে বাংলাকে ছোট করতে মোদি-শাহের কেন্দ্রীয় সরকারের জঘন্য চক্রান্ত বলেই উঠছে অভিযোগ। টানা পাঁচবার পঞ্চায়েতের কাজের নিরিখে বিভিন্ন বিভাগে দেশের সেরা পুরস্কার প্রাপকদের তালিকায় ছিল বাংলা। তা সত্ত্বেও বাংলার ভাগ্যে ২০২৩ সালের জন্য কেন্দ্রের তরফে দেওয়া কোনও পঞ্চায়েতিরাজ পুরস্কার জুটল না।
আরও পড়ুন-পরামর্শ দিলেন কৃষিমন্ত্রী, রাতে জল দিন জমিতে
সোমবার জাতীয় পঞ্চায়েতিরাজ দিবসে বিজ্ঞান ভবনে কাজের নিরিখে রাজ্যগুলিকে পুরষ্কৃত করেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েতমন্ত্রী গিরিরাজ সিং ও সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি৷ বিগত ৯ বছর ধরে কেন্দ্রে বিজেপি সরকারের আমলে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, গ্রামীণ সড়ক যোজনা, মনরেগা প্রকল্পের অধীনে সর্বাধিক কর্মদিবস তৈরির মতো একাধিক কৃতিত্বের অধিকারী বাংলা। তারপরেও কেন্দ্রের তরফে দেওয়া পঞ্চায়েতিরাজ পুরস্কার থেকে বঞ্চিত করা হল বাংলাকে। যা নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। আসলে একের পর এক পুরস্কার পাওয়ার পর বাংলাকে রুখতে পারছে না মোদি সরকার।
আরও পড়ুন-বিরাটকে টেক্কা ধোনির, জিতে তিনে সিএসকে
সামনে পঞ্চায়েত ভোট, স্বভাবতই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়েই পুরস্কার পাওয়ার যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও বাংলাকে বঞ্চনা করা হল। পুরস্কার প্রাপকদের তালিকায় প্রায় সব রাজ্য থাকলেও পুরোপুরি ব্রাত্য থেকে গেল এ রাজ্য। পুরস্কার প্রাপকদের তালিকা জুড়ে দাপট শুধু বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলির। বিগত ৫ বছর ধরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রেখেছে বাংলা। এ প্রসঙ্গে রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জেরে কীভাবে বাংলাকে বঞ্চনা করা যায় এটা তারই প্রমাণ। ২০১৫ সাল থেকে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার পঞ্চায়েতে ভাল কাজ করার জন্য বাংলাকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে পুরস্কৃত করেছে। বিভিন্ন প্রকল্পের সুষ্ঠু রূপায়ণের জন্য স্বীকৃতি দিয়েছে। এখন বঞ্চনা। বাংলায় বেশি ধান উৎপাদন হলেও কেন্দ্র তা কেনে না।