প্রতিবেদন : মাঝে কিছুদিন বন্ধ থাকার পর আবারও ফাটল দেখা দিল জোশীমঠে। নতুন করে ফাটল দেখা দেওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে প্রবল আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ২০২২ সালের শেষ দিকে জোশীমঠে প্রথম ফাটল ধরা পড়ে। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, জোশীমঠে ও সংলগ্ন এলাকায় অপরিকল্পিতভাবে পাহাড় কেটে যে উন্নয়নের কাজ চলছে তার ফলেই এই ফাটল। কীভাবে এই ফাটল রোধ করা যায় তা নিয়ে সংস্কার ও গবেষণার কাজ চলছে।
আরও পড়ুন-ভক্তদের স্বাচ্ছন্দ্যের কথা ভেবে সাজছে লোকনাথ মন্দির
কয়েকদিন আগে উত্তরখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী বলেন, জোশীমঠের পরিস্থিতি বর্তমানে স্থিতিশীল আছে। দেশের সামনে উত্তরাখণ্ড তথা জোশীমঠের যে ছবি তুলে ধরা হচ্ছে সেটা ঠিক নয়। ফাটল মেরামত এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপদে রাখার জন্য সরকার সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে। তাই আতঙ্কের কোনও কারণ নেই। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর ওই মন্তব্যের পর ফাটল ধরা পড়ায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ও উদ্বেগ বেড়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, সরকার যতই সব ঠিক আছে বলুক না কেন, তাঁরা রীতিমতো ভয় পাচ্ছেন। কারণ তাঁদের বাড়িতে নতুন করে ফাটল ধরতে শুরু করেছে এবং তা ক্রমশ চওড়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন-মেকি শ্রমিকদরদি বামেরা কেরলে মোদির বিলের সমর্থক, শ্রমিক সমাবেশে ঋতব্রত
ইতিমধ্যেই জোশীমঠের চাওয়ানি বাজারের বাসিন্দা বাসন্তী দেবী এবং নরেন্দ্র লাল নামে এক ব্যক্তি সাব-ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট কুমকুম জোশীর কাছে চিঠি লিখে এই ফাটলের কথা জানিয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, প্রশাসনকে নতুন করে ওই এলাকায় সমীক্ষা চালাতে হবে। তাঁদের বাড়িগুলি পরীক্ষা করে দেখতে হবে। বাসন্তী দেবী জানিয়েছেন, কয়েকদিন আগেই তাঁর বাড়িতে অল্প ফাটল ধরেছিল। ক্রমশ সেই ফাটল আরও চওড়া হচ্ছে। জোশীমঠের পরিস্থিতি স্বাভাবিক বলা হলেও তা আদৌ ঠিক নয়। এ-বিষয়ে এসডিএম কুমকুম জোশী বলেছেন, তিনি স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ পেয়েছেন। খুব শীঘ্রই একটি সরকারি টিম গোটা এলাকা পর্যবেক্ষণ করবে। যদি দেখা যায়, ওই বাড়িগুলি বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে তবে সেখানকার বাসিন্দাদের অন্যত্র সরানো হবে। দেওয়া হবে ক্ষতিপূরণও।