প্রতিবেদন : কিশোরীর দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এলাকায় শনিবার দিনভর অশান্তি করল বিজেপি। বহিরাগতদের এনে গ্রামবাসীদের উসকে দিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে তোলে বিজেপি। যদিও পুলিশ-প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনায় অভিযুক্ত যুবক ও তার বাবাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে খুন, অপহরণ ও পকসো আইনে মামলা করা হয়েছে। জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার। কিন্তু যেভাবে শুধুমাত্র ঘোলাজলে মাছ ধরার জন্য একটা দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যুকে সামনে রেখে শকুনের রাজনীতি করল বিজেপি নেতারা তার তীব্র প্রতিবাদ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
আরও পড়ুন-রবিবার রাতেও মিলবে বিশেষ মেট্রো
মন্ত্রী শশী পাঁজা এবং তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ গোটা ঘটনায় দলের তরফে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। কঠোর সমালোচনা করেছেন সুকান্ত মজুমদারদের অবিবেচক কাজের। কিশোরী মৃত্যুর ঘটনায় এমনিতেই ওই এলাকা উত্তপ্ত ছিল। তার ওপর ইচ্ছে করে ঘটনাকে সামনে রেখে রাজনীতি করতে এলাকায় যায় সুকান্ত। স্বাভাবিক ভাবেই বিজেপি নেতা-কর্মীরা যেভাবে ঘটনাস্থলে গিয়ে প্ররোচনা দিচ্ছেন, গন্ডগোল পাকাচ্ছেন তা সমর্থনযোগ্য নয়। সাফ কথা মন্ত্রী শশী পাঁজার। তাঁর কথায়, বিজেপি ডেডবডি পলিটিক্স করছে। এমনকী ওরা মেয়েটির নাম বলে দিয়েছে। যা করা যায় না। এটা গুরুতর অপরাধ। ওখানে রাজ্যের শিশু সুরক্ষা কমিশন এবং মহিলা কমিশন গিয়েছে। ওখানে বিজেপি গ্রামবাসীদের ভুল বোঝাচ্ছে। শনিবার সন্ধ্যায় জেলা পুলিশের তরফেও সাংবাদিক বৈঠক করে গোটা পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করেন সিনিয়র অফিসাররা। এলাকায় শান্তি ফেরাতে পুলিশ কড়া পদক্ষেপ করেছে।
আরও পড়ুন-ইদের দিনেই মুসলিমদের হাতে দুর্গা প্রতিমার বায়না!
ঘটনার প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, আগে কী হয়েছে, পরে কী হয়েছে সবটা বাদ দিয়ে একটি ছবি কৌশলে ভাইরাল করে দেওয়া হল। যে ছবিটি সামনে এসেছে তা দেখতে মোটেই ভাল লাগছে না। কিন্তু ঘটনাস্থলে পুলিশকে দৌড়তে হচ্ছে কেন, তবে কি মৃতদেহ ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা হচ্ছিল? সে-সব খতিয়ে দেখা দরকার। তবেই গোটা ঘটনাটি পরিষ্কার হবে। কুণালের ঘোষের অভিযোগ, কালিয়াগঞ্জের সাহেবঘাটায় কিশোরী মৃত্যুর ঘটনায় রাজনীতির রঙ লাগাচ্ছে বিজেপি। পুলিশ অভিযুক্ত ২ জনকে গ্রেফতার করার পরও সাধারণ গ্রামবাসীকে ভুল বুঝিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা চলছে। শুক্রবারের পর শনিবার দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকার সাধারণ মানুষ। বিজেপি এখানে টিম পাঠাচ্ছে! উত্তরপ্রদেশের হাথরাস-উন্নাও-সহ একাধিক জায়গায় মহিলাদের নির্যাতন করে খুন করা হয়েছে। বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে তখন ওখানে ক’টা টিম গিয়েছে কেন্দ্রের?