‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ কর্মসূচির আজ দ্বিতীয় দিনে ঘুঘুমারিতে বক্তব্য রাখছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Bandyopadhyay)। এদিন দূর্ণীতিমুকেও পঞ্চায়েতের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি সকলকে ধর্মনিরপেক্ষ হওয়ার বার্তা দেন।
এদিন মঞ্চ থেকে অভিষেক বলেন, ‘টিভি খুললেই দেখছেন মোদীজির ৫৬ ইঞ্জি ছাতি আর হাতির শুঁড়ে হাত বোলাচ্ছেন। আপনি যদি ধর্মের ভিত্তিতে ভোট দেন, তাহলে ধর্মের ভেদাভেদ হবেই। আর যদি উন্নয়নের ভিত্তিতে ভোট দেন, উন্নয়ন হবে।’
ধর্মান্ধতা নিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনারা ধর্মের নামে ভোট দিয়েছিলেন, আপনারা রামমন্দিরের নামে ভোট দিয়েছিলেন, আপনারা ভোট দিয়েছিলেন মোদীজির ৫৬ ইঞ্চি ছাতি দেখে। আর এখন আপনারা কী দেখছেন? আপনার বাড়িতে ছাদ নেই, আপনার পাড়ার রাস্তার টাকা মোদী আটকে দিয়েছে। কিন্তু রামমন্দির হচ্ছে। আগামীদিনে ধর্মের নামে ভোট নয়। ভোট মানুষের ন্যায্য অধিকারকে সামনে রেখে করতে হবে।কিছু লোকের অসুবিধা হবে। কিছু লোক তো রয়েছেন, যাঁরা ভেবেছেন, আমার সুপারিশ ব্লক প্রেসিডেন্ট কিংবা বিধায়ক করে দেবেন, আমি টিকিট পেয়ে যাব। ১০০ জনের মধ্যে ৫-৭ জনের তো অসুবিধা হবেই। দীর্ঘদিন ধরে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যে সন্ত্রাসের বাতাবরণ দেখেছি….২০১৮ কিংবা ২০১৩ বা ২০০৮ সালের পঞ্চায়েত নয়, ৭২ সালের পঞ্চায়েতও যদি মনে করে দেখেন, কী সন্ত্রাস হয়েছিল। আর সিপিএম ৭৭ সালে আসার পর তো কী হয়েছিল, না বলাই ভাল। একটা ভোটকে কেন্দ্র করে কত লোকের মৃত্যু। সেই পরিস্থিতি বদলাতেই শাসকদলের প্রতিনিধি হয়ে রাস্তায় নেমেছি।’
আরও পড়ুন-‘আপনি যাঁকে মান্যতা দেবেন, তৃণমূল সর্বশক্তি দিয়ে তাঁকেই জেতাবে’, ঘুঘুমারিতে সাফ কথা অভিষেকের
এদিনও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের তরফে বকেয়া টাকা নিয়ে সরব হন। তিনি বলেন, ‘পঞ্চায়েতে তৃণমূল জিতলেও রাস্তা হচ্ছে, হারলেও হচ্ছে। একশো দিনের টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র। বাংলাই একমাত্র রাজ্য, যেখানে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে পারেনি বিজেপি। মোদী যবেথেকে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, কোচবিহারে একটা পর্যালোচনা বৈঠকও করেনি বিজেপি। যদি এখানে কোথাও করে থাকে, তাহলে আমি এখানে যাত্রা বন্ধ করে দেব। সেখানে আমি পা রাখব না। যদি কেউ দেখাতে পারে ৯ বছরে একটাও মিটিং করেছে বিজেপি, সেখানে আমি ভোট চাইতে যাব না।’