‘আপনি যাঁকে মান্যতা দেবেন, তৃণমূল সর্বশক্তি দিয়ে তাঁকেই জেতাবে’, ঘুঘুমারিতে সাফ কথা অভিষেকের

তৃণমূলে নবজোয়ার’ কর্মসূচির আজ দ্বিতীয় দিন । ঘুঘুমারিতে সভায় দলীয় নেতৃত্বকে বার্তা দিলেন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

Must read

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ কর্মসূচির আজ দ্বিতীয় দিন । ঘুঘুমারিতে সভায় দলীয় নেতৃত্বকে বার্তা দিলেন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘কেউ যদি নতুন করে রাজনীতিতে এসে পঞ্চায়েতে জেতে, সার্বিকভাবে আমার এলাকার গ্রাম উপকৃত হবেন। আপনি তাঁকে মান্যতা দিয়ে যদি আমাদের কাছে মতামত জানান, তৃণমূল কংগ্রেস সব শক্তি প্রয়োগ করে গণতান্ত্রিকভাবে তাঁকেই জেতাবে।’

আরও পড়ুন-‘ওন্ট বি ব্য়াক ফর মেনি এ ডে’ প্রয়াত হ্যারি বেলাফন্টে

এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘কেন কোচবিহার থেকে যাত্রা শুরু করলাম? আমি গতকাল দিনহাটায় ছিলাম। সেখান থেকে সাহেবগঞ্জে সভা করেছি। তারপর সিতাই, গোসাইমারি, শীতলকুচি গেছি। তারপর রাতে মাথাভাঙায় গিয়েছি। সেখানে অধিবেশন ছিল। আজ এখানে। মানুষ যে সংখ্যায় আসছেন, এটা প্রমাণ করে তৃণমূলের নবজোয়ার এসেছে। আজ এ কর্মসূচি স্বার্থক। আগামী দিনে পঞ্চায়েত স্তরে প্রার্থী তৃণমূল কংগ্রেস কিংবা তৃণমূলের কোনও নেতা করবে না, প্রার্থী আপনারা ঠিক করবেন। সাধারণত দেখবেন, যে দল ক্ষমতায় থাকে, সে দল কোনওদিন রাস্তায় নামে না। যারা জনসংযোগ যাত্রা করে, তারা সাধারণত বিরোধী হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আপনারা তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী করেছেন। আমরা পারতাম, জেলাস্তর, ব্লক স্তরে নেতাদের থেকে মতামত নিয়ে বদ্ধ করে বসে প্রার্থী নির্ধারণ করতে। কিন্তু কেন এসেছি?আমি বরাবরই বলেছি, মানুষ যাঁকে সার্টিফিকেট দেবে, তাঁকেই টিকিট দেব। মানুষ ঠিক করবে প্রার্থী কে হবেন’

আরও পড়ুন-দক্ষিণবঙ্গে ফিরছে ভ্যাপসা গরম, বৃষ্টি কবে?

আগামী কর্মসূচি নিয়ে তিনি বলেন, ‘অনেক রাজনৈতিক নেতাই অনেক কথা বলেন। কিন্তু ৬০ দিন বউ-বাচ্চা-বাবা-মা সংসার ছেড়ে রাস্তায় পড়ে রয়েছি। আপনাদের সঙ্গে থাকছি, এত গরমেও রাস্তায় থাকছি। আমার আজই চারটে সভা রয়েছে. তারপর তুফানগঞ্জ যাব।আপনাদের বুথে এলাকায় ভাল লোক কিংবা মহিলা রয়েছেন, আপনি তাঁকে মান্যতা দিয়ে যদি আমাদের কাছে জানান, তাহলে তৃণমূল সব শক্তি দিয়েই তাঁকেই জেতাবে।নীল রঙের একটা ছোট্ট ক্যাম্প করা হয়েছে। সেখানে তিন চারটে ব্যালট বক্স থাকবে। সেখানে আপনাদের ব্যালট পেপার দেওয়া হবে। যারা বয়স্ক, ভোট দিতে পারবেন না, তাঁরা বাড়ি ফিরে যাবেন। আপনাদের একটা নম্বর দিচ্ছি, সেখানে বাড়ি থেকে ফোন করেও আপনাদের মতামত জানাতে পারবেন। আপনাদের গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা, পিএস থেকে যাঁকে জেতাতে চান, সেটা জানাতে পারবেন।৭৮৮৭৭৭৮৮৭৭ এই নম্বরে ফোন করে মতামত জানাতে পারবেন।’

আরও পড়ুন-সিবিআই চার্জশিটে নাম সিসোদিয়ার

এদিন তিনি বেশ ক্ষুব্ধ হয়েই বলেন, ‘কাউকে একটু প্রভাবিত করে, সুপারিশ করে একটা ব্যালট পেপারে নিজের নামটা দেওয়ানোর চেষ্টা করলে, সেটা কিন্তু নয়। যদি আমার নামেই ১০ টা রেকমেনডেশন পড়ে, প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে আমি এগিয়ে থাকলাম, এটা ভাবলে ভুল। যে নম্বরটা দিলাম, সেখানে তৃণমূল সমর্থকরা তো ফোন করলাম, সাধারণ জনগণও ফোন করছেন। তাই যাঁরা ভাবছেন নিজেদের নামে ২০টা ভোট বেশি ফেলিয়ে আমার জায়গা সুরক্ষিত করলাম, তাঁরা মুর্খের স্বর্গে বাস করছেন।এই প্রক্রিয়া দুর্নীতিমুক্ত পঞ্চায়েত গড়ার লক্ষ্যে। এটা তার প্রাথমিক ধাপ।’

Latest article