প্রতিবেদন : অভিনব উদ্যোগ। কলকাতা পুরসভার (Kolkata Municipality) কর্মসংস্কৃতির উন্নয়ন নিশ্চিত করতে এবারে চালু হচ্ছে অ্যাপ নির্ভর ‘চ্যাট বট’। নাগরিক পরিষেবার ক্ষেত্রেও অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এই অ্যাপ। বন্ধ হবে দালালদের দৌরাত্ম্য ও। নাগরিক পরিষেবার মানের বিষয়েও নাগরিকদের কাছ থেকে ফিড-ব্যাক পাওয়া যাবে এই প্রযুক্তির মাধ্যমে। হবে রেটিংও। একই সঙ্গে চালু হচ্ছে পুরকর্মীদের ওয়ার্ক ডায়েরি। সারাদিনে তাঁরা কী কী কাজ করলেন, কতটা কাজ সম্পূর্ণ হল, কতটা বাকি রইল, কেন- এসবই লিখে রাখতে হবে নিজেদেরই। চাকরিজীবনের অ্যাসেসমেন্টের ক্ষেত্রে বিবেচিত হবে এই রেকর্ড। মেয়র ফিরহাদ হাকিমের এই বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা রূপায়ণের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। কেন্দ্রীয় পুরভবনের প্রতিটি গেটেই বসতে চলেছে চ্যাট বট স্মার্ট গেট। কে কখন ঢুকছে, বেরচ্ছে তার সম্পূর্ণ রেকর্ড চ্যাট বটের মাধ্যমে হাতে চলে আসবে পুর কর্তৃপক্ষের। থাম্ব ইমপ্রেশন এবং বায়োমেট্রিক রিপোর্ট-সহ সংরক্ষিত হবে এই রেকর্ড। এর ফলে দালালদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে অত্যন্ত সুবিধা হবে। জানা গিয়েছে পুরসভা (Kolkata Municipality) সূত্রে। একটু গভীরে প্রবেশ করলেই বোঝা যাবে চ্যাট বট প্রযুক্তির বহুমুখী তৎপরতা। বাড়ির নকশা, মিউটেশন— সবকিছুরই সুযোগ মিলবে চ্যাট বটে। বাড়িতে বসেই পাওয়া যাবে আধিকারিকদের অ্যাপয়েন্টমেন্ট। মিলবে এন্ট্রি পাস। সেটি দেখিয়েই প্রবেশ করা যাবে পুরভবনে। আকাঙ্ক্ষিত পরিষেবা তিনি পেয়েছেন কি না, সেই ফিডব্যাক দিতে পারবেন সেই নাগরিক। নথিভুক্ত করতে পারবেন রেটিং। মেয়রের এই নয়া উদ্যোগ পুরসভার অগ্রগতিকে এক বিশেষ মাত্রা দেবে বলে আশাপ্রকাশ করেছেন মেয়র পারিষদ বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন- আবাস যোজনা অডিটের সিদ্ধান্ত