প্রতিবেদন : কর্নাটকে দলীয় ইস্তাহারেও (BJP’s Manifesto) মেরুকরণের তাসকেই সামনে আনল বিজেপি। তারা স্পষ্ট বুঝিয়ে দিল, দক্ষিণের এই রাজ্যে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে মেরুকরণ ও বিভাজনের রাজনীতিই তাদের মূল হাতিয়ার।
কর্নাটকে এবার অগ্নিপরীক্ষা বিজেপির। প্রাক নির্বাচনী বেশিরভাগ সমীক্ষা রিপোর্টেই গেরুয়া শিবিরের নিশ্চিত পরাজয়ের কথা বলা হয়েছে। দক্ষিণের এই রাজ্যে প্রবল দলীয় কোন্দলে ভুগছে গেরুয়া দল। একের উপর এক শীর্ষনেতা ইতিমধ্যে দল ছেড়েছেন। এই পরিস্থিতিতে কর্নাটকে ক্ষমতা ধরে রাখার মরিয়া চেষ্টা হিসেবে চেনা মেরুকরণের পথেই হাঁটল গেরুয়া শিবির। সোমবার কর্নাটক বিজেপির নির্বাচনী ইস্তাহার (BJP’s Manifesto) প্রকাশ করেন দলের সভাপতি জে পি নাড্ডা। নাড্ডা ঘোষণা করেন, দল ক্ষমতায় ফিরলে কর্নাটকে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করা হবে। চালু করা হবে এনআরসি অর্থাৎ ন্যাশনাল রেজিস্টার অফ সিটিজেনস।
আরও পড়ুন-মানুষের স্বার্থে কাজ করে চলেছে, মা-মাটি-মানুষের সরকার
ক্ষমতাসীন দল হিসাবে বিজেপি তার ইস্তাহারে উন্নয়ন এবং পরিষেবাকে সামনে রাখবে বলেই মনে করা হয়েছিল। কিন্তু দেখা গেল ইস্তাহারে কর্মসংস্থান তৈরি এবং পরিষেবার উন্নতি নিয়ে প্রতিশ্রুতি থাকলেও তা নতুন কিছু নয়। আগের বিভিন্ন সময়ে বলা কথাগুলিই নতুন করে বলা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ ভুয়ো প্রতিশ্রুতি সেটা এতদিনে মানুষের কাছে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। বাড়তি সুবিধা হিসাবে গরিব পরিবারগুলিকে বছরে তিনটি করে রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার বিনা পয়সায় দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তবে রাজনৈতিক মহল মনে করছে, ভোট মিটে গেলেই বিনা পয়সায় গ্যাস সিলিন্ডার দেওয়ার কথা ভুলে যাবে বিজেপি।
অভিন্ন দেওয়ানী বিধি বিজেপির ধর্মীয় মেরুকরণের অন্যতম অস্ত্র। গোয়া, উত্তরাখণ্ড, গুজরাতের পর কর্নাটকেও এবার তা চালু করার কথা জানাল বিজেপি। ভোট ঘোষণার কিছুদিন আগেই এ রাজ্যে মুসলিমদের জন্য চার শতাংশ সংরক্ষণ তুলে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শাহী সিদ্ধান্ত যে নিতান্তই মেরুকরণের জন্য তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ইস্তাহার প্রকাশ অনুষ্ঠানেও নাড্ডা বলেন, বিজেপি সকলের উন্নয়ন চায়। কিন্তু তার জন্য কোন একটি সম্প্রদায়কে তোষণ করতে রাজি নই আমরা।