সংবাদদাতা, পুরুলিয়া : দীর্ঘদিন বিধায়ক ছিলেন কংগ্রেসের নেপাল মাহাত। বাম জমানায় ঝালদায় বিড়ি শ্রমিকদের জন্য একটি হাসপাতাল তৈরি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। কেন্দ্রের থেকে আদায় করে নিয়ে আসবেন সেই হাসপাতাল। পারেননি। ঝালদা ১ নম্বর ও দু’নম্বর ব্লকের বহু গ্রামে বিড়ি বেঁধে জীবিকা মানুষের। ঘরের কাজ সামলে কুলোয় তামাক ও কেন্দু পাতা নিয়ে বিড়ি বাঁধতে বসে যান মহিলারা। দিন গুজরান হয়। অবস্থা বদলায় না।
আরও পড়ুন-তৃণমূল নেতার বাড়িতে বোমা
এবার এই বিড়ি শ্রমিকদের পেনশনের আওতায় এনে তাঁদের পাশে দাঁড়াচ্ছে রাজ্য সরকার। গ্রামে গ্রামে ঘুরে পুরুলিয়া জেলা আইএনটিটিইউসি সভাপতি উজ্জ্বল কুমার শ্রমিকদের বোঝাচ্ছেন, কীভাবে শ্রম দফতরের সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পে প্রভিডেন্ট ফান্ডের খাতা খুলে ষাট বছর বয়সের পর পেনশন নিশ্চিত করতে হবে। মঙ্গলবার উজ্জ্বল কুমার বলেন, বিড়ি প্রস্তুতির সময় সরাসরি শ্রমিকরা তামাকের সংস্পর্শে আসেন। ঝালদা, আড়শা, বাঘমুন্ডি ব্লকে বহু গ্রামে তবু বিড়ি বাঁধতে বাধ্য হন শ্রমিকরা।