শুক্রবার সকালে সামশেরগঞ্জে গঙ্গা ভাঙন কবলিত বেশ কিছু এলাকা ঘুরে দেখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তারপর প্রশাসনিক সভায় যোগ দিয়ে এদিন পাট্টা বিলি করেন তিনি। এদিন তিনি বলেন, ‘বৃহস্পতিবারই মালদহ-মুর্শিদাবাদ নিয়ে প্রশাসনিক রিভিউ মিটিং হয়েছে। আজ আমি সামশেরগঞ্জটা নিজে চোখে দেখব বলে এসেছিলাম। লালগোলা, ভগবানগোলা, ধুলিয়ান, সুতি অনেকবার গিয়েছি।’
আরও পড়ুন-স্বাধীনতার পরে আসা বাংলাদেশি পরিবারের হাতে এবার জমির মালিকানা স্বত্ব দেবে রাজ্য
এদিন ফরাক্কার সমস্যা নিয়ে কেন্দ্রকে নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন তিনি বলেন, ‘প্রাকৃতিক বিপর্যয় বাড়ছে। নদীতে স্রোত ও চড়া বেড়েছে। ফরাক্কা ব্যারেজ সংক্রান্ত সমস্যা অনেকদিনের। আমরা বারবার কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে কথা বলেছি। ফরাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। এটা দিল্লির সাবজেক্ট। আমাদের নয়। তা সত্ত্বেও আমরা অনেকবার কথা বলেছি। কিন্তু ওরা আমাদের কোনও সাহায্য তো করেইনি। উল্টে ইন্দো ফরাক্কা বাংলাদেশ জলচুক্তি যখন হয়, ৭০০ কোটি টাকা রাজ্যের পাওয়ার কথা ছিল, এলাকাবাসীর উন্নয়নের জন্য, এক পয়সা আজ পর্যন্ত দেয়নি। হয়ত ২০ বছরের বেশি হয়ে গিয়েছে।’
আরও পড়ুন-বিরোধী দলনেতাকে তদন্তে অন্তর্ভুক্তির দাবি তৃণমূলের, প্রকাশ্যে সেই ভিডিও
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘দেবগৌড়া যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তখন জলচুক্তি হয়েছিল। গঙ্গা ভাঙন, বন্যা নিয়ন্ত্রণ কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের দেখার প্রকল্প। ওরা যত রাজনীতি নিয়ে মাথা ঘামায়, প্ররোচনা নিয়ে মাথা ঘামায়, যদি মাথাটা সঠিক কাজে ব্যবহার করত, তাহলে এই প্রকৃতি কিন্তু রূপসী বাংলা রূপে আরও রূপান্বিত হতে পারত।’
আরও পড়ুন-লছিমপুরে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র
১০০ দিনের বরাদ্দ টাকা নিয়ে এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘১০০ দিনের কাজে খাটিয়েছে টাকা দেয়নি। অথচ এই টাকা দেওয়া বাধ্যতামূলক। যে সরকার ১০০ দিনের কাজে পরপর ৫ বছর প্রথম হলাম, একটা টাকা দেয়নি। আমি জেনেশুনে কখনও মিথ্যা বলি না। আমি অন্য নেতাদের মতো নই। আমি একজন সাধারণ কর্মী। সাধারণ মানুষ। মিথ্যা বলে রাজনীতি আমার নেশাও নয়, পেশাও নয়। সমাজসেবার জন্য রাজনীতি করি১০ কোটি কর্মদিবস করেছি। আমরা আমাদের রাজ্য সরকার থেকে ৪০ লক্ষ লোককে ১০০ দিনের কাজ দিতে পেরেছি। সব জেলাশাসক, পঞ্চায়েত, ডিএমদের বলব, যাঁরা ১০০ দিনের কাজ করে টাকা পাননি, কাজ দিন বেশি করে।’