তৃণমূলের পাশে বাংলার আদিবাসীরা। যতদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দোপাধ্যায় আছেন এবং তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা আছে আদিবাসীরা বাংলায় সুরক্ষিত আছে। আদিবাসী সমাজকে এগিয়ে আনতে সবরকম ব্যবস্থা নিচ্ছে রাজ্য সরকার। তাই আদিবাসী সমাজকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। বাংলায় বিভাজন সৃষ্টির চক্রান্ত চলছে। বিজেপি-র এই চক্রান্ত ধূলিসাৎ করতে হবে। আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষে একসঙ্গে এক হয়ে লড়াই করবে। কারণ আদিবাসীরা শান্তিতে থাকতে চায়। উত্তর দিনাজপুরে এসে এমনই মন্তব্য করলেন রাজ্যের বন প্রতিমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা।
আরও পড়ুন- আর আস্থা নেই পদ্মে, মধ্যপ্রদেশে ‘হাত’ ধরলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর ছেলে
রবিবার ইটাহারের হাইস্কুল পাড়া মাঠ এলাকায় লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে নির্মিত সিধু কানুহুর মূর্তি উন্মোচন করলেন মন্ত্রী। আদিবাদী নৃত্য সহ মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পা মেলান আদিবাসী ছন্দে৷ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইটাহারের বিধায়ক মোশারফ হোসেন সহ অন্যান্য নেতৃত্ব৷ এরই পাশাপাশি এদিন বৈদরা জনকল্যাণ হাইস্কুলের মাঠে এমএলএ কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলায় যোগদান করেন তিনি। নাম না করে বিজেপি-র বিরুদ্ধে সরব হন তিনি। অন্যদিকে রায়গঞ্জের কুলিক পক্ষীনিবাসে ঝটিকা সফরে আসেন তিনি। কুলিক পক্ষীনিবাস আরও বেশি সংস্কার ও নানান নতুন প্রকল্প এনে পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে কাজ করার কথা জানান তিনি। বনকর্মীদের প্রচেষ্টায় ও পরিশ্রমে পর্যটনকেন্দ্রটি সুন্দরভাবে পরিচালিত হচ্ছে। এই বনাঞ্চলকে আরও ঢেলে সাজানোর জন্য বনবিভাগের কাছে প্রস্তাব রাখা হবে। সারা বছর এখানে পর্যটকরা আসেন। ফলে সৌন্দর্যায়ন বাড়ালে তা আরও আকর্ষণীয় হবে সাধারণ মানুষের কাছে। ফলে আয়ও বাড়বে বনবিভাগের। এখানে চিড়িয়াখানা তৈরির বিষয়েও প্রস্তাব দেবেন বলে জানান বীরবাহা হাঁসদা।