আন্তর্জাতিক মডেলে বদলাচ্ছে মোকার গতিপথ। রাজ্যের উপকূলে প্রভাব বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা আবহাওয়াবিদদের। আমেরিকা ও ইউরোপের মডেল জানাচ্ছে, বাংলাদেশের চট্টগ্রামে আছড়ে পড়তে পারে মোকা। গতিবেগ হতে পারে ১৪০ থেকে ১৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়। পশ্চিমবঙ্গকে পাশ কাটিয়ে উত্তর ও উত্তর-পূর্বে এগিয়ে বাংলাদেশ, মায়ানমারের দিকে অগ্রসর হওয়ার সময়, বাংলার উপকূলে প্রভাব পড়তে পারে বলে সোমবার জানিয়েছে মৌসম ভবন। আর এই ঘূর্ণিঝড় মোকা মোকাবিলায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন চূড়ান্তভাবে প্রস্তুত থাকলেও কার্যত মাথায় হাত দিঘা-শঙ্করপুর-মন্দারমণি-তাজপুরের হোটেল মালিকদের। বিদ্যালয়গুলিতে এখন গরমের ছুটি চলছে। প্রথম পর্বের পরীক্ষা শেষ। রোজা মাসের পর ইদও শেষ। কালবৈশাখীর প্রভাবে আবহাওয়া অনেকটা ঠান্ডা হওয়ায় উপকূলের এই পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে পর্যটকদের ভিড় ভালই হতে শুরু করেছিল। ফের ঘূর্ণিঝড় মোকার চোখরাঙানিতে এই পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে পর্যটকদের ভাটা পড়বে বলে হোটেল মালিকদের অনুমান। আবার অনেকে মনে করছেন, এই সময় সমুদ্র উত্তাল হবে। ফলে জলোচ্ছ্বাস দেখতে অনেক পর্যটক দিঘায় আসতে পারেন। তবে ইয়াস ও আমফান ঘূর্ণিঝড়ের মতো মোকার ক্ষেত্রেও উপকূলের পর্যটন কেন্দ্র থেকে পর্যটকদের সরানো হবে কি না, তা এখনও পর্যন্ত সরকারিভাবে জানানো হয়নি বলে দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ সূত্রে প্রকাশ। তবে অন্যান্য ঘূর্ণিঝড়ের মতো দিঘা সহ উপকূলে সবরকম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ইতিমধ্যেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সমস্ত ব্লকে কন্ট্রোল রুম চালু হয়ে গিয়েছে। জেলাশাসকের তত্ত্বাবধানে উপকূল ভাগে উদ্ধারকাজ সহ অন্যান্য প্রক্রিয়ার জন্য আগাম মহড়া করেছে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর। সংশ্লিষ্ট সমস্ত দফতরগুলোকে সবরকম প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জেলার উপকূল ভাগ সহ অন্যান্য জায়গায় ৫১২টি বিদ্যালয় বিল্ডিং ইতিমধ্যেই ত্রাণ শিবিরের জন্য রেডি রাখা হয়েছে। সব মিলিয়ে চূড়ান্তভাবে প্রস্তুত উপকূল ভাগ এখন মোকার অপেক্ষায়।