কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সংরক্ষণ নিয়ে করা মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করল সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে কর্নাটকে মুসলিমদের জন্য ৪ শতাংশ সংরক্ষণ প্রত্যাহার সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি ছিল। ওই শুনানিতে শীর্ষ আদালত সাফ জানায়, কর্নাটকের মুসলিম কোটা প্রত্যাহার প্রসঙ্গে কোনও রাজনৈতিক মন্তব্য করা যাবে না।
আরও পড়ুন- তৃণমূল ভবনে শ্রদ্ধায় পালিত হল রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতির বেঞ্চের তরফে বলা হয়েছে, আদালতে বিচারাধীন বিষয় নিয়ে এভাবে জনসমক্ষে মন্তব্য করতে পারেন না রাজনৈতিক নেতারা। উল্লেখ্য, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ কর্নাটকের একাধিক নির্বাচনী প্রচারসভায় দাবি করেছিলেন, বিজেপি মুসলিমদের জন্য সংরক্ষণ প্রত্যাহার করেছে। কর্নাটক ছাড়াও তেলেঙ্গানাতেও মুসলিম সংরক্ষণ বাতিলের ডাক দেন তিনি। ফলে প্রশ্ন ওঠে, আদালতে বিচারাধীন বিষয় নিয়ে প্রকাশ্য জনসভায় কী করে এই কথা বলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী?
বিধানসভা নির্বাচনের কয়েকদিন আগে রাজ্যের বিজেপি সরকার ঘোষণা করে, মুসলিমদের জন্য ৪ শতাংশ সংরক্ষণ প্রত্যাহার করা হবে। পরিবর্তে ভোক্কালিগা ও লিঙ্গায়েত সম্প্রদায়ের জন্য নির্দিষ্ট করা হয় ওই সংরক্ষণ। এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হয়। বিচারপতি কে এম জোসেফ, বি ভি নাগরত্না ও বিচারপতি আহসানউদ্দিন আমানুল্লাহ’র বেঞ্চে মামলার শুনানি চলছে। আবেদনকারীদের আইনজীবী দুষ্যন্ত দাভে বলেন, নির্বাচনী প্রচারে অমিত শাহ গর্বের সঙ্গে বলছেন যে তাঁর দল মুসলিমদের কোটা প্রত্যাহার করেছে। সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন বিষয় নিয়ে এইভাবে মন্তব্য করা যায় না। ১৯৭১ সালে এই কারণে পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রীকে আটক করা হয়েছিল। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিচারপতি বি ভি নাগরত্না বলেন, যদি এটি সত্যি হয়, তাহলে কেন এই ধরনের বিবৃতি দেওয়া হচ্ছে? যখন বিষয়টি বিচারাধীন তখন এই বিষয়ে প্রকাশ্য বিবৃতি দেওয়া কখনওই উচিত নয়। সরকারের তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা, দাবি করেন, আদালতকে শাহর মন্তব্যের সম্পূর্ণ প্রেক্ষাপট জানানো হয়নি। তার প্রেক্ষিতে বিচারপতি নাগরত্না বলেন, পাবলিক প্লেস থেকে কেউ এ ধরনের বিবৃতি দিতে পারেন না। ২৫ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।