বিরোধী সমন্বয়ের নয়া ফর্মুলা মুখ্যমন্ত্রীর

কর্ণাটকের পরাজয় বিজেপিকে বিধ্বস্ত করে দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিরোধী জোটকে আরও শক্তিশালী করতে অভিনব বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Must read

প্রতিবেদন : লক্ষ্য ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন। সেদিকে তাকিয়েই সোমবার গোটা দেশ জুড়ে বিরোধী জোটের আসন বিন্যাসের অভিনব ফর্মুলা বাতলে দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, কংগ্রেস যেসব জায়গায় শক্তিশালী সেখানে প্রায় ২০০টি আসনে তারা লড়াই করবে। বাকি ৩৪৩টি আসনে বিরোধী জোটের দলগুলি লড়াই করবে। যার মধ্যে বেশিরভাগই আঞ্চলিক দল। কর্ণাটকের পরাজয় বিজেপিকে বিধ্বস্ত করে দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিরোধী জোটকে আরও শক্তিশালী করতে অভিনব বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন-দিনের কবিতা

একই সঙ্গে আবার তাঁর একাধিকবার বলা কথা বললেন, ‘যে যেখানে শক্তিশালী সে সেখানে লড়ুক।’ সেই সঙ্গে কংগ্রেসের প্রতি নেত্রীর বার্তা, আগামী দিনে কংগ্রেসকে আঞ্চলিক দলগুলিকে সম্মান দিয়েই চলতে হবে। একতরফা কংগ্রেসের দাদাগিরি মানা হবে না। এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আবারও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝিয়ে দেন, লক্ষ্য ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন। বিজেপির বিরুদ্ধে সার্বিক লড়াই চান তিনি। সেক্ষেত্রে বিরোধী জোটের শরিকদলগুলির মধ্যে সমন্বয় রক্ষা করে চলছে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু একতরফা কংগ্রেসের দাদাগিরি যে তৃণমূল মানবে না সোমবার তৃণমূল সুপ্রিমোর কথায় তা স্পষ্ট। নেত্রীর কথায়, যেখানে আঞ্চলিক দলগুলি শক্তিশালী সেখানে বিজেপি লড়াই করতে পারে না। কর্ণাটকে মানুষ বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে। বিহার, ওড়িশা, বেঙ্গল, চেন্নাই, তেলেঙ্গানা, পাঞ্জাব— সব জায়গায় আঞ্চলিক দল শক্তিশালী। এরপরই নেত্রীর সংযোজন, কংগ্রেস যেসব জায়গায় শক্তিশালী সেখানে প্রায় ২০০টি আসনে তারা লড়াই করবে। কিন্তু তাদেরও ভাবতে হবে আঞ্চলিক দলগুলিকেও সমান সম্মান দিতে হবে।

আরও পড়ুন-আজ মুম্বই-লখনউ

বেশ কিছুদিন ধরেই বিজেপি-বিরোধী সমমনোভাবাপন্ন দলগুলির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নীতীশ কুমার-তেজস্বী যাদব, অখিলেশ যাদব-কুমারস্বামীরা কলকাতায় এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে গিয়েছেন। অল্প কিছুদিনের মধ্যে বিরোধী জোটের নেতারা নিজেদের মধ্যে বৈঠকে বসতে চলেছেন। এই আবহে কর্ণাটকে বিজেপির পরাজয় নিশ্চিতভাবে আগামী দিনে জোটের আবহকে পোক্ত করবে। তবে সোমবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে বার্তা দিলেন তাতে এটা আবারও স্পষ্ট হয়ে গেল, বিজেপির বিরুদ্ধে সর্বাত্মক লড়াইয়ে কোন‌ওরকম ফাঁক যেমন তিনি চান না তেমনই আবার যা-ই ঘটুক না কেন একতরফা কংগ্রেসের দাদাগিরিও তৃণমূল কংগ্রেস মানবে না। দলনেত্রী এদিন বলেন, আগামী ২৭ তারিখে নীতি আয়োগের একটা বৈঠক আছে সেখানে যাব। আমি বাংলার বকেয়ার দাবি বারবার বলেছি, আবারও বলব। এমনিতে তো আমাকে কিছু বলতে দেয় না। বসিয়ে রাখে। আগে প্লানিং কমিশনের বৈঠকে তা-ও বলার সুযোগ থাকত। সেটা তো তুলেই দিয়েছে। তবে রাজ্যের কথা তো আমায় বলতেই হবে তাই নীতি আয়োগের বৈঠকে আমি যাব।

Latest article