মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে গিয়েছে এগরায়। বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে নিহত হয়েছেন ৫ জন। আহত সাতজন। মঙ্গলবার বিস্ফোরণের ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই নবান্ন (Nabanna) থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে একথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee- Egra)। একই সঙ্গে তিনি জানান, NIA তদন্তে তাঁর কোনও আপত্তি নেই। হতে পারে CBI তদন্তও। বিরোধীদের কুৎসার জবাব দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানালেন প্রকৃত সত্যি সামনে আসুক। পাশাপাশি, মৃতদের পরিবার ও আহতদের আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এগরার বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটার পরেই এনআইএ তদন্তের দাবি জানায় বিরোধীরা। তাদের কুৎসার মোক্ষম জবাব দিয়ে নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee- Egra) সাফ জানিয়ে দেন, NIA-CBI কোনও তদন্তেই তাঁর আপত্তি নেই। কারণ তিনি চান প্রকৃত দোষী শাস্তি পাক। একইসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এই ঘটনায় তৃণমূল কোনভাবেই জড়িত নয়। মুখ্যমন্ত্রী জানান, কারখানার মালিক ভানু বাগকে বেআইনি বাজি তৈরির অপরাধে ২০২২-এ ১৯ অক্টোবর গ্রেফতার করা হয়। আদালত থেকে জামিন পেয়ে ফের ব্যবসা শুরু করেন তিনি। এগরা ওড়িশার সীমানায়। সেখানে বাজি তৈরি করে ওড়িশায় সব বাজি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ওড়িশার বিভিন্ন বাজি প্রতিযোগিতাতেও অংশ নেন ভানু বাগ। এমনকী বাংলাদেশেও তাঁর বাজি যায় বলে অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর। কারখানার মালিক ওড়িশায় পালিয়ে গিয়েছেন বলে জানান তিনি। তাঁকে সেখান থেকে ধরে আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সে কারণে ওড়িশা সরকারের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে বলেও জানান বাংলার প্রশাসনিক প্রধান।
আরও পড়ুন: এবার কর্নাটকেও জনতার থাপ্পড় খেলেন দলবদলু বিজেপি প্রার্থীরা
এরপরে বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো। এগরার খাদিকুল পঞ্চায়েত বিজেপির দখলে। এলাকায় তৃণমূলকে ঢুকতে দেওয়া হয় না বলে অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর। বিস্ফোরণের মৃতদের মৃতদেহ লোপাট করে দেওয়ার অভিযোগ কার্যত উড়িয়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, পাঁচ জন মৃত এবং সাত জন আহত হয়েছেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ঘটনার তদন্তভার সিআইডিকে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, সীমান্তে নাকা চেকিং বাড়ানোর নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের আর কোথায় কোথায় বেআইনি বাজি কারখানা আছে তাও দেখতে বলেন। বিস্ফোরণে নিহতদের পরিবারকে আড়াই লক্ষ টাকা, গুরুতর আহতকে দেড় লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সিআইডি। স্থানীয় আইসির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়ে মমতা প্রশ্ন তোলেন, কেন আইসির কাছে খবর ছিল না? কর্তব্য গাফিলতির অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।