এবার কর্নাটকেও জনতার থাপ্পড় খেলেন দলবদলু বিজেপি প্রার্থীরা

হুবহু বাংলার প্রতিচ্ছবি দক্ষিণের কর্নাটকেও। বিজেপির দলবদলুর ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে আমজনতা।

Must read

প্রতিবেদন : হুবহু বাংলার প্রতিচ্ছবি দক্ষিণের কর্নাটকেও। বিজেপির দলবদলুর ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে আমজনতা। বছর চারেক আগে একঝাঁক বিধায়ক কংগ্রেস ও জেডিএস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। বিজেপিতে যোগ দেওয়া ওই সমস্ত নেতাদের সকলকেই প্রত্যাখ্যান করেছেন মানুষ। সদ্য প্রকাশ হওয়া ফলাফলের ভিত্তিতে বলা যায়, রাজনৈতিক অস্তিত্ব হারাতে চলেছেন ওই প্রাক্তন বিধায়করা।

আরও পড়ুন-কৃষিক্ষেত্রে উপগ্রহের সহযোগিতা

২০২১ সালে ঠিক এমনটাই ঘটেছিল পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা ভোটে। তৃণমূল ছেড়ে দলে দলে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছিলেন অনেকে। কিন্তু তাদের সকলেরই শোচনীয় পরাজয় হয়েছিল। মুখ লুকোনোর জায়গাও পাননি তাঁরা। নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহরা দিল্লি-বাংলা ডেইলি পাসেঞ্জারি করেও তাঁদের জেতাতে পারেননি। বাংলার বুকে ভরাডুবি হয়েছিল বিজেপির। রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি তথাগত রায় ঠিক এই বিষয়টাই মনে করিয়ে দিয়ে ২০২১–এর বিপর্যয়ের জন্য খোঁচা দিয়েছেন সেই সময়ের বিজেপি নেতৃত্বকে৷ সোমবার এই নিয়ে ট্যুইটও করেছেন তিনি৷ বলেছেন, একুশের নির্বাচনে বাংলায় দলের টিকিট বন্টনের ক্ষেত্রে ঠিক যেরকম পক্ষপাতিত্ব করা হয়েছিল এবারে তারই পুনরা​বৃত্তি ঘটেছে কর্নাটকে৷ বিজেপির কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে দিয়ে তিনি বলেছেন, সব জায়গাতেই সেই একই সাংগঠনিক পাগলামি চলছে৷

আরও পড়ুন-ভারতীয় রেলে ডিজেল ক্রয়ে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি! অডিটে ফাঁস কেলেঙ্কারি

২০১৯ সালে কর্নাটকে অপারেশন লোটাস-এ দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন ১৪ জন বিধায়ক। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবেগৌড়ার দল জেডিএস ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন তিনজন। অর্থাৎ মোট ১৭ জন দলবদলু গেরুয়া মোহে পা দিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু এবারের নির্বাচনে তাঁরা সকলেই পিছলে পড়েছেন। ওই ১৭ জন বিধায়কের জন্যই পতন হয়েছিল কং-জেডিএস সরকারের। পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতা দখল করেছিল বিজেপি। বিজেপির এই কূট রাজনীতি যে মানুষ ভালভাবে নেয়নি সেটা নির্বাচনী ফলাফলেই স্পষ্ট। এবার ভোটে ওই দলবদলু বিধায়কদের মধ্যে টিকিট পেয়েছিলেন ১০ জন। বিজেপি দিয়েছিল ৯ জনকে। এনসিপি একজনকে।

আরও পড়ুন-বিতর্কে তিহার

ওই ১০ জনই গো-হারা হয়েছেন। যাঁর মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিদায়ী স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে সুধাকর। বিধায়ক মহেশ কুমাথাল্লি। এঁরা সকলেই কংগ্রেস প্রার্থীর কাছে হেরেছেন। কর্নাটকের ঘটনায় ঘুম ছুটেছে মধ্যপ্রদেশ বিজেপির। ২৩০ আসন বিশিষ্ট মধ্যপ্রদেশে ২০১৮ সালে কংগ্রেস পেয়েছিল ১১৪। মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন কমলনাথ। কিন্তু বিজেপির ঘোড়া কেনাবেচার ফলে কংগ্রেসের ২৭ জন বিধায়ক দল বদল করে। পতন হয় কমলনাথ সরকারের। ঘুরপথে ক্ষমতা দখল করে বিজেপি। বিজেপি নেতাদের উদ্বেগ এবার ভোটে বুমেরাং হবে না তো?

Latest article