প্রতিবেদন : ২০২৩ থেকে ২০২৭ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছর রেকর্ড গরমের মুখে পড়বে বিশ্ব। আগাম সতর্কবার্তা দিল রাষ্ট্রসংঘ। রাষ্ট্রসংঘের তরফে এক বার্তায় জানানো হয়েছে, এল নিনো এবং বিপজ্জনক গ্রিন হাউস গ্যাসের কারণে আগামী ৫ বছর গোটা বিশ্ব তীব্র গরমের সাক্ষী হবে। এই পাঁচ বছরের মধ্যে কোনও একটি বছরের গরম আগের সব রেকর্ড ভেঙে দেবে। ২০১৫ সালে প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে বলা হয়েছিল, ১৮৫০ থেকে ১৯০০ সাল পর্যন্ত যে বিশ্ব উষ্ণায়ন হয়েছিল সেই গড় তাপমাত্রার থেকে তাপমাত্রা কমপক্ষে ২ ডিগ্রি কমাতে হবে। কিন্তু তাপমাত্রা কমা তো দূরের কথা, ২০২২ সালে বিশ্বের গড় তাপমাত্রা ১.১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরও পড়ুন-ধর্মীয় হিংসার বিরুদ্ধে দ্রুত কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে, বললেন বিচারপতি জোসেফ
আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই একটি এল নিনো তৈরি হতে চলেছে বলেও রাষ্ট্রসংঘের আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে। এল নিনোর পাশাপাশি মানুষের তৈরি জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টিও রয়েছে। এই দুই জোড়া ফলাতেই বিশ্বের তাপমাত্রা এক ধাক্কায় আরও বাড়বে। এভাবে তাপমাত্রা বাড়লে মানুষের স্বাস্থ্যের যেমন ক্ষতি হবে তেমনি সংকটে পড়বে খাদ্য নিরাপত্তা। প্রবল গরম ও জল সংকটের কারণে চলতি বছরেও রবিশস্য উৎপাদন মার খেয়েছে। যার ফলে আটা, তেল-সহ বিভিন্ন জিনিসের দামও ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে।
আরও পড়ুন-আমজনতার ২ লক্ষ কোটি গায়েব, মোদি-আদানি যোগসাজশে এলআইসির সর্বনাশ
রাষ্ট্রসংঘের আবহাওয়া সংক্রান্ত বিভাগের প্রধান পেটোরি টালাস বলেছেন, এল নিনোর প্রভাবে নিরক্ষীয় এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা অস্বাভাবিক বাড়বে। চলতি বছরের জুলাইয়ের শেষ দিকে এই এল নিনো তৈরি হওয়ার ৬০ শতাংশ সম্ভাবনা রয়েছে। সেপ্টেম্বরে সেই সম্ভাবনা বেড়ে ৮০ শতাংশে পৌঁছবে। এল নিনোর প্রভাব ভালমতোই টের পাওয়া যাবে ২০২৪ সালেও। এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা পেতে হলে মানুষকে সচেতন হতে হবে। কমাতে হবে দূষণ ও উষ্ণায়ন।