প্রতিবেদন : পুলওয়ামাই ওদের শেষ করে দেবে। ২০২৪ সালে ওরা কোথাও থাকবে না। নিজের দুই ঘনিষ্ঠের বাড়িতে সিবিআই তল্লাশির পর বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে এই মন্তব্য করলেন জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক। মোদি জমানায় সত্যপাল গোয়া ও মেঘালয়ে রাজ্যপালের দায়িত্বও সামলেছেন। মোদি সরকার তার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা মেটাতেই বিরোধীদের বিরুদ্ধে ইডি, সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় সংস্থাকে ব্যবহার করে। বিরোধীরা বারে বারেই এই অভিযোগ করেছে।
আরও পড়ুন-৫ বছর রেকর্ড গরম, সতর্কবার্তা রাষ্ট্রসংঘের
সেই অভিযোগে যে কোনও ভুল নেই তার প্রমাণ মিলল। সম্প্রতি মোদির বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন বিজেপি নেতা তথা জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক। মোদির বিরুদ্ধে কথা বলার পরই সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়েছেন সত্যপাল। তবে এখানেই শেষ নয়, এবার সত্যপাল ঘনিষ্ঠ তাঁর প্রাক্তন মিডিয়া উপদেষ্টা সুনক বালি এবং প্রাক্তন আপ্তসহায়ক কাওয়ার সিং রানার বাড়িতেও হানা দিল সিবিআই। বুধবার কাশ্মীরের মোট ৯টি ঠিকানায় তল্লাশি চালায় সিবিআই। যার মধ্যে সত্যপাল মালিকের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ দুই সহযোগীর বাড়িও রয়েছে। দুই ঘনিষ্ঠের বাড়িতে সিবিআই হানা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুব্ধ মালিক।
আরও পড়ুন-ধর্মীয় হিংসার বিরুদ্ধে দ্রুত কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে, বললেন বিচারপতি জোসেফ
তিনি বলছেন, আমি যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলাম তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হচ্ছে না। আমাদেরই অত্যাচার করা হচ্ছে। আমাদের ভয় দেখাতে চাইছে। যতদিন না ওদের সরাতে পারছি আমরা লড়াই চালিয়ে যাব। কিছুদিন আগে সত্যপাল বলেছিলেন, ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী কেন্দ্রের ব্যর্থতা। সিআরপিএফ সেনা জওয়ানদের যাতায়াতের জন্য হেলিকপ্টার চেয়েছিল। কিন্তু সেটা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক দেয়নি। তাঁর আরও অভিযোগ, কাশ্মীরের রাজ্যপাল থাকাকালীন আম্বানির সংস্থার জীবনবিমা সংক্রান্ত ৩০০ কোটির একটি ফাইল পাশ করানোর জন্য তাঁকে চাপ দিয়েছিলেন এক সংঘ নেতা। এই অভিযোগ করার পরই তাঁকে রিলায়েন্সের বিমা দুর্নীতিতে ৩০০ কোটির ঘুষ মামলায় সমন পাঠানো হয়। এমনকী, তাঁর বাড়িতেও সিবিআই হানা দেয়।