প্রতিবেদন : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বারে বারে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু আয় বাড়া তো দূরের কথা, বরং ফসলের উপযুক্ত দাম না পেয়ে কৃষকদের ক্রমশই লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে। পেঁয়াজ চাষ করে কৃষকদের আয় ২০ বছর ধরে একই রয়েছে। তবে চাষের খরচ অবশ্যই চারগুণ বেড়েছে। কারণ মোদি সরকারের ভ্রান্ত নীতির কারণে সার থেকে শুরু করে কীটনাশক ও বীজের দামের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি হয়েছে। মধ্যপ্রদেশের অন্যতম অর্থকরী চাষ পেঁয়াজ।
আরও পড়ুন-২০২৪ সালে বিজেপি আর থাকবে না, দাবি সত্যপালের
এই রাজ্যে রয়েছে বিজেপির ডবল ইঞ্জিন সরকার। কিন্তু তারপরেও এ রাজ্যের কৃষকদের পরিস্থিতি অত্যন্ত করুণ হয়েছে। মধ্যপ্রদেশে বিজেপির ডবল ইঞ্জিন সরকার কিছু ফল এবং শাকসবজির উপর ন্যূনতম সহায়ক মূল্য ঘোষণা করার প্রতিশ্রুতি দিলেও যথারীতি তা পালন করেনি। অসময়ের বৃষ্টিতে এবার চাষিরা বিপাকে পড়েছেন। উৎপাদন কম, উপযুক্ত দামও মিলছে না। এ কারণে কৃষকের চাষের খরচটুকুও উঠছে না। দাম না পেয়ে কৃষকরা নর্দমায় পেঁয়াজ ফেলে দিচ্ছেন। এমনকী, বিনামূল্যে বিতরণ করছেন বলে খবর।
আরও পড়ুন-৫ বছর রেকর্ড গরম, সতর্কবার্তা রাষ্ট্রসংঘের
ঘনশ্যাম নামে এক কৃষক অভিযোগ করেছেন, মান্ডিতে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে এক থেকে তিন টাকায়। অথচ প্রতি কেজি পেঁয়াজে খরচ প্রায় ৬ টাকা। এক টাকার পেঁয়াজও বিক্রি হয়নি। কমলেশ প্যাটেল নামে আর এক কৃষক তাঁর ফসল ড্রেনে ফেলে দেন। মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সাহায্য করতে বলেছিলেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশমতো কৃষকরা এখনও সেই সাহায্য পাননি।