বিজেপিকে একপ্রকার মাটির সাথে মিশিয়ে কর্নাটকে ক্ষমতায় এসেছে কংগ্রেস। আবেশে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন সিদ্দারামাইয়া (Siddaramaiah)। সেখানে আমন্ত্রণ জানানো হয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কাজের ব্যস্ততায় যেতে পারেননি মমতা। পরিবর্তে নিমন্ত্রণ রক্ষায় তাঁর বদলে রাজ্য সরকারের প্রতিনিধি হয়ে উপস্থিত ছিলেন বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে তাঁকে দেখেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর কুশল জানতে চান স্বয়ং কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন-‘২০০০ টাকার নোটের তুঘলকি নোট বাতিলের নাটক’ তোপ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
শনিবার, বেঙ্গালুরুর কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সিদ্দারামাইয়া শপথ নেন। উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন ডিকে শিবকুমার। কাকলি ঘোষদস্তিদার ছাড়াও ছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ-সহ আমন্ত্রিত অবিজেপি নেতৃত্ব। তৃণমূল সভানেত্রীর পাঠানো শাল সিদ্দারামাইয়াকে দেন তৃণমূল সাংসদ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কুশন জানতে চান কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন-অভিষেকের নির্দেশে ২৪ ঘন্টার মধ্যে হল অসুস্থ ব্যক্তির স্বাস্থ্যসাথী কার্ড, খুশি পরিবার
কর্নাটক নির্বাচনে বিজেপিকে ল্যাজে-গোবরে করে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে কংগ্রেস। নির্বাচনের আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নো ভোট টু বিজেপি-র ডাক দেন। বলেন, কর্নাটকের বিধানসভা নির্বাচন থেকেই সেটা শুরু হলে, তিনি সব থেকে খুশি হবে। ভোটের ফল প্রকাশের পরে জয়ীদের অভিনন্দন জানান তৃণমূল সভানেত্রী। বিজেপির মতো সম্প্রদায়িক শক্তি পর্যুদস্ত হওয়ায়, এটা লোকসভা নির্বাচনের আগে গেরুয়া শিবিরের শেষের শুরু বলে মত মমতার। এদিন, তৃণমূল সুপ্রিমোর দেওয়া শাল গায়ে জড়িয়ে তাঁর প্রতিও সম্মান প্রদর্শন করেন সিদ্দারামাইয়া।