প্রতিবেদন : শনিবার সিবিআই জেরা-পর্ব শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেছিলেন, আমি দিল্লির পোষা কুকুর হয়ে নয় রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার হিসেবেই বাচঁব। সোমবার বাঁকুড়ার রাজপথে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) যখন রোড-শো শুরু করলেন তাঁকে দেখে কে বলবে এই বাঁকুড়া থেকে তাঁকে চলে যেতে হয়েছিল সিবিআইয়ের মুখোমুখি হওয়ার জন্য! ৯ ঘণ্টা ৪০ মিনিট ধরে একের পর এক প্রশ্ন করেও বিন্দুমাত্র টলানো যায়নি তাঁর মনোবল। যে-দৃপ্ত পদক্ষেপে তিনি রাজপথ ধরে জনসংযোগে এগিয়ে যাচ্ছিলেন সেই ভঙ্গিমা তো একমাত্র খোঁচা খাওয়া বাঘের মধ্যেই দেখে অভ্যস্ত বাংলার মানুষ। আশপাশে যা-ই ঘটুক না কেন লক্ষ্যে স্থির অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জনসংযোগ যাত্রায় একটুও মনোসংযোগে চিড় ধরেনি। ভাসলেন জনতার প্লাবনে। গত শনিবার ৯ ঘণ্টা ৪০ মিনিট সিবিআই জেরা-পর্ব শেষে মাথা উঁচু করে বেরিয়ে তিনি বলেছিলেন এতদিন নবজোয়ারের বিপুল ভিড় দেখে বিজেপি ভয় পেয়েছে এবার জনপ্লাবন দেখে ওদের রাতের ঘুম উড়ে যাবে। হলও তাই সোমবার বাঁকুড়ার ইন্দাস থেকে দশগুণ উৎসাহ ও জনসমুদ্র সঙ্গে নিয়ে জনসংযোগ যাত্রা শুরু করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। আক্ষরিক অর্থেই জনপ্লাবন যাকে বলে এদিন তাই-ই দেখল বাঁকুড়া, দেখল গোটা বাংলা, গোটা দেশ। সোমবার ইন্দাস-কোতলপুর হয়ে বিষ্ণুপুরে পৌঁছন। সেখানেই ছিল অধিবেশন ও ভোটগ্রহণ পর্ব। এদিন বাঁকুড়া পৌঁছেই ইন্দাসে বজ্রাঘাতে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন অভিষেক। তাঁকে দেখতে ভিড় করেন গ্রামবাসীরা। ইন্দাসে বজ্রাঘাতে বেশ কিছু মানুষ আহত হন। এদিন তাঁদের সঙ্গেও কথা বলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। অভিষেককে কাছে পেয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন তাঁরা। সবরকম ভাবে তাঁদের পাশে থাকার বার্তা দেন অভিষেকও।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী ৭২-আমি ৩৬, রাজনৈতিক লড়াইয়ে হেরে এজেন্সি লাগিয়ে দিয়েছেন