সংবাদদাতা, সিউড়ি : বীরভূমে নবজোয়ার যাত্রা এক মাসও পূর্ণ হয়নি। এর মধ্যেই সব প্রতিশ্রুতি পূরণ করলেন সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee- Trinamoole Nobo Jowar)। বোলপুরের দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠকে এই কথা জানাল জেলা তৃণমূল। ছিলেন জেলা তৃণমূল চেয়ারম্যান আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, বিধায়ক অভিজিৎ সিনহা, মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা প্রমুখ। জানা যায়, ১০ মে নবজোয়ার যাত্রায় এসে মহম্মদবাজার কলোনি মাঠের সভায় ভারকাঁটা পঞ্চায়েতের বাসিন্দারা জলের কথা বলেন তাঁকে। বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলে অভিষেক জানতে পারেন, পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় সেখানে জলের স্তর অনেক নিচে নেমে যাওয়ায় জলের সমস্যা আছে। তারপরই পিএইচই দফতরের মাধ্যমে জলের নির্দেশ দেন অভিষেক। পাশাপাশি, প্রতি বুথে টিউবওয়েলের ব্যবস্থা করা হয়। আশিসবাবু বলেন, ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee- Trinamoole Nobo Jowar) নির্দেশে ভারকাঁটা পঞ্চায়েতের ১৫ বুথে জল সরবরাহের জন্য পিএইচই কাজ শুরু করেছে।’ মহম্মদবাজার ব্লক প্রশাসন সূত্রে খবর, পাইপ লাইনের মাধ্যমে জল সরবরাহের কাজ চলছে। এক মাসের মধ্যে কাজ সম্পূর্ণ হবে। মহম্মদবাজার ব্লকের বেলগড়িয়া গ্রামে গালওয়ান সংঘর্ষে নিহত শহিদ রাজেশ ওরাংয়ের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পর গ্রামের মানুষের সঙ্গে কথা বলেন অভিষেক। সেসময় ৩৪ জন গ্রামবাসী কাস্ট সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন করেন। বেলগড়িয়া গ্রামের বিডিও নিজে তিরিশজনের হাতে অভিষেকের প্রতিশ্রুতি মোতাবেক জাতিগত শংসাপত্র তুলে দেন। গ্রামের বিপল কোঁড়া বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথামতো তিরিশজনকে উপজাতি শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি একটি খেলার মাঠ দখল নিয়ে তাঁর কাছে বড়শাল গ্রামের টমেশ মিঞার নামে অভিযোগ করেন গ্রামের ছেলেরা। শনিবারের প্রেস কনফারেন্সে জানানো হয়, সেই মাঠ তরুণ প্রজন্মের খেলাধুলার জন্য ফিরে এসেছে। এ ছাড়াও শহিদ রাজেশের বাবা সুভাষ ওরাংয়ের কৃষকভাতা এবং তাঁর বিধবা স্ত্রীর স্বাস্থ্যসাথী কার্ড-সহ পরিবারের হাতে আর্থিক সাহায্য তুলে দেওয়া হয়েছে। অভিষেকের নির্দেশে সাংসদ ডাঃ শান্তনু সেন সাঁইথিয়া নন্দীকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শনে আসেন বীরভূমে জনসংযোগ যাত্রা শেষ হওয়ার পর। মূল মন্দির, আটচালা সংস্কারের জন্য বরাদ্দ হয় ১ কোটি টাকার মধ্যে ২৫ লক্ষ টাকা তাঁর তহবিল থেকে দেন তিনি।
আরও পড়ুন-কনভয়ে হামলার প্রতিবাদ