প্রতিবেদন: বাবা-মায়ের অপরাধের কারণে শাস্তি পেতে হচ্ছে দু’বছরের শিশুকে। উত্তর কোরিয়ার (North Korea- Bible) প্রেসিডেন্ট কিম জং উন স্পষ্ট জানিয়েছেন, অপরাধ করলে কেউই পার পাবে না। সে কারণেই দু’বছরের শিশুকেও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে সে দেশের আদালত। প্রশ্ন হল ওই শিশুর অপরাধ কী? জানা গিয়েছে, ওই শিশুটির মা-বাবার কাছে পাওয়া গিয়েছিল বাইবেল। খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী নাগরিকদের কাছ থেকে বাইবেল (North Korea- Bible) উদ্ধার হলে তাদের কড়া শাস্তি দিচ্ছে কিং জং প্রশাসন। যাদের কাছ থেকে বাইবেল মিলছে তাঁদের দেওয়া হচ্ছে মৃত্যুদণ্ড। সেইসঙ্গে তাঁদের পরিবারের অন্য সদস্যদের দেওয়া হচ্ছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা। ওই শিশুটির মা-বাবার কাছেও বাইবেল পাওয়া গিয়েছিল। তাই শিশুটির মা-বাবাকে দেওয়া হয়েছে মৃত্যুদণ্ড। আর শিশুটির হয়েছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। আইনত উত্তর কোরিয়ায় কোনও বিশেষ ধর্মাচরণে বাধা নেই। কিন্তু তারপরও এই তুঘলকি নির্দেশ, যা গোটা দেশে এক ভয়াবহ আতঙ্কের পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। এক মার্কিন রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, গত কয়েক বছরে উত্তর কোরিয়ায় ৭০ হাজার খ্রিস্টানকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বহু মানুষকে দেওয়া হয়েছে মৃত্যুদণ্ড। ওই মার্কিন রিপোর্ট থেকেই দু বছরের শিশুর যাবজ্জীবন সাজার বিষয়টি জানা গিয়েছে। মা-বাবার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ায় শিশুটি এখন কারাগারে বন্দি। ওই রিপোর্টে আরও দাবি করা হয়েছে, জেলে বন্দিদের উপর চালানো হচ্ছে অকথ্য অত্যাচার। উল্লেখ্য, ২০১০ সালে দেশের শাসন ক্ষমতা নিজের হাতে তুলে নিয়েছেন কিম। দেশে তাঁর কথাই শেষ কথা।