প্রতিবেদন : উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি না করেই নিজের ক্ষমতা দেখাতে দক্ষিণ আফ্রিকা ও নামিবিয়া থেকে ২০টি চিতা এনেছিল নরেন্দ্র মোদি সরকার। এদেশে অনুকূল পরিবেশ না থাকায় গত দু’মাসে কুনো জাতীয় উদ্যানে ৬টি চিতার মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে তিনটি শাবক। কুনো জাতীয় উদ্যানে একের পর চিতার মৃত্যুর ঘটনায় গভীর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা স্পষ্ট বলেছেন, ভারতে চিতাগুলির দেখভাল ঠিকমতো হচ্ছে না। অত্যন্ত অল্প পরিসরে তাদের রাখা হয়েছে। তাই এ ধরনের মৃত্যু খুবই স্বাভাবিক। ঘটনার জেরে যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়েছে মোদি সরকার। তাই বনমন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, দেশে চিতা ফেরানোর প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত সরকারি কর্মীদের দক্ষিণ আফ্রিকায় পাঠানো হবে। সেখানে তাঁরা চিতা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ নেবেন।
আরও পড়ুন-মণিপুরের পরিস্থিতি উদ্বেগজনক, বিস্ফোরক সেনাপ্রধান ও সিডিএস
উল্লেখ্য, জ্বালা নামের চিতাটির চারটি শাবকের মধ্যে তিনটি শাবকই মারা গিয়েছে। চতুর্থ শাবকটির শারীরিক অবস্থাও খুব খারাপ। তবে শুধু শাবক নয়, কুনোয় মৃত্যু হয়েছে আরও তিনটি পূর্ণবয়স্ক চিতারও। ২৭ মার্চ প্রথম মৃত্যু হয়েছিল নামিবিয়া থেকে আনা ৫ বছরের স্ত্রী চিতা শাসার। ২৪ এপ্রিল মারা যায় দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আনা পুরুষ চিতা উদয়। ৯ মে কুনোতে মৃত্যু হয়েছে মহিলা চিতা দক্ষের। ফিন্ডা নামে একটি পুরুষ চিতার আক্রমণে মৃত্যু হয়েছিল দক্ষের। অন্য দুই চিতার মৃত্যু হয়েছে শারীরিক অসুস্থতার কারণে।
পরপর মৃত্যুর ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই কুনোর জাতীয় উদ্যানে চিতাদের দেখভাল করা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই ঘটনায় দক্ষিণ আফ্রিকা ও নামিবিয়া দুই দেশই ক্ষুব্ধ ভারতের উপর।