শুক্রবার রাতেই বালেশ্বরের (Baleshwar) কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে করমণ্ডল এক্সপ্রেস (Coromondol Express)। দুর্ঘটনার খবর শুনেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এ রাজ্যের তরফে খুব তাড়াতাড়ি সাহায্যের ব্যবস্থা করা হয় । রাতেই প্রতিনিধি হিসেবে বালেশ্বরে গিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ দোলা সেন ও ও রাজ্যের মন্ত্রী মানস ভুঁইঞা। আজ সেখানে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে। হেলিকপ্টারে শনিবার সকালেই রওনা হচ্ছেন তিনি। জানা গিয়েছে, এদিন সকাল ১০ টায় হাওড়ার ডুমুরজোলা হেলিপ্যাড থেকে রওনা হবেন তিনি।
আরও পড়ুন-ও রাজা মশাই! আমরা ভাল মোটেই নেই
ইতিমধ্যেই উদ্ধার হয়েছে ২৩৩ জনের দেহ।ওড়িশার মুখ্যসচিব প্রদীপ জেনা জানিয়েছেন, ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৯০০ জন। বালেশ্বর, ময়ূরভঞ্জ, ভদ্রক, কটক সহ কয়েকটি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে আহতদের। এবার প্রশ্ন উঠছে রেলের সুরক্ষা ব্যবস্থা এবং পরিকাঠামো নিয়ে। ঠিক কী কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে, তা নিয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি আজ সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আজ দুর্ঘটনাস্থলে যাবেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক। এখনও ধ্বংসস্তূপের মাঝে আটকে রয়েছে প্রচুর মানুষের দেহ। দুর্ঘটনা কীভাবে, সেটা যদিও এখনও স্পষ্ট নয়। দুর্ঘটনার নেপথ্যে বেশ কিছু তথ্য উঠে আসছে।
আরও পড়ুন-গরম থেকে বাঁচতে গন্তব্য দার্জিলিং
এদিন রেলমন্ত্রী বলেন, ‘রাত থেকে এক নাগাড়ে এনডিআরএফ, এসডিআরএফ, রেলপুলিশ, রাজ্য সরকার সবাই মিলে উদ্ধারকার্য চালাচ্ছে। বালেশ্বর, ভুবনেশ্বর, টাটানগর থেকে উদ্ধারকারীরা এসেছেন। এত বড় দুর্ঘটনায় উদ্ধারকার্যে চেষ্টার কোনও খামতি রাখা হচ্ছে না।’ রেলমন্ত্রী এই ঘটনায় জানিয়েছেন, আহতদের চিকিৎসার সবরকম দায়িত্ব নেওয়া হচ্ছে। দুর্ঘটনার তদন্তের জন্য উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিশনার রেল সেফটিকে ডাকা হয়েছে। তারাও তদন্ত করবে।