নয়াদিল্লি, ৩ জুন : ভারতীয় কুস্তি নিয়ে ডামাডোল তুঙ্গে। কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের গ্রেফতারি চেয়ে কুস্তিগিরদের আন্দোলনের মধ্যেই ভারতীয় কুস্তি সংস্থার নির্বাসিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। হাতে মাত্র সাতদিন সময় রয়েছে। তার মধ্যে যদি কুস্তি ফেডারেশনে নির্বাচন না হয়, তাহলে কড়া ব্যবস্থা নিতে পারে আন্তর্জাতিক কুস্তি সংস্থা।
আরও পড়ুন-শুভমনকে আরও দেখতে চান কার্স্টেন
দেশের কুস্তি ফেডারেশনের সমস্ত কাজকর্ম এখন চালাচ্ছে ভারতীয় অলিম্পিক সংস্থার তৈরি করে দেওয়া একটি বিশেষ কমিটি। ২৭ এপ্রিল সেই কমিটি তৈরি হয়েছিল। এই কমিটিকে বিশ্ব কুস্তি সংস্থার তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, ৪৫ দিনের মধ্যে নির্বাচনের মাধ্যমে ডব্লুএফআই-এর নতুন কমিটি তৈরি করতে হবে। ১০ জুন সেই সময়সীমা শেষ হওয়ার কথা।
আরও পড়ুন-ধর্মে ধর্মে বিভাজন, আপনার কি আর কিছুই নাই মোদিজি
হাতে মাত্র ৭ দিন সময় আছে। কিন্তু এখনও নির্বাচনের প্রস্তুতিই শুরু করা যায়নি। আইওএ এখনও না করেছে পর্যবেক্ষক নিয়োগ, না করেছে নির্বাচনের জন্য নোটিশ জারি। জাতীয় ক্রীড়ানীতি মেনে নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। আগামী দিন দশেকের মধ্যে এগুলো না করলে শাস্তির খাঁড়া নেমে আসতে পারে কুস্তি ফেডারেশনের উপর। আর বিশ্ব কুস্তি সংস্থা ভারতকে নির্বাসিত করলে আগামী বছর প্যারিস অলিম্পিকে দেশের পতাকা নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না প্রতিযোগীরা।
আরও পড়ুন-পর্যটক টানতে সাজছে দিঘা মেরিন ড্রাইভ
এদিকে, সর্বভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে দু’বছর আগেই অভিযোগ জানানো হয়েছিল। অভিযোগ জানিয়েছিলেন এক মহিলা কুস্তিগির। ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারী কুস্তিগিররা যে এফআইআর করেছেন, তাতে এমনই অভিযোগ করা হয়েছে। এফআইআরে এক কুস্তিগির লিখেছেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছিলাম, আমি এবং অন্য মহিলা কুস্তিগিররা বারবার শারীরিক ও মানসিকভাবে হেনস্তার শিকার হচ্ছি। ব্রিজভূষণ এবং তাঁর সহযোগীরা বারবার আমাদের নানাভাবে হেনস্তা করছেন। প্রধানমন্ত্রী আমাকে আশ্বস্ত করে বলেছিলেন, ক্রীড়ামন্ত্রক বিষয়টি দ্রুত খতিয়ে দেখবে।’’