সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি : উত্তরে সাম্প্রদায়িকতার বিষ ছড়িয়ে ফের দাঙ্গা লাগানোর খেলায় মেতেছে বিজেপি। আগামী বছর লোকসভা নির্বাচন। তার আগে উত্তরের ৮টি আসন দখল করতে বিজেপি এই পন্থা নিয়েছে। যদিও একথা নতুন কিছু নয়। এর নেপথ্যে রয়েছে আরএসএস। বিজেপির সাংসদ তথা বিহারের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদি শিলিগুড়িতে এসে ওই কাজে ইন্ধন দিলেন, শিলিগুড়িতে বিজেপি কর্মী ও আরএসএস কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করে। উত্তরের সব জেলা, বিহার ও অসম থেকে বিজেপি ও আরএসএস কর্মীরা যোগ দেন। গত সোমবার বিজেপির জেলা কার্যালয়ে জেলা নেতৃত্ব সহ বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
আরও পড়ুন-সুপ্রিম কোর্ট প্রশ্ন তুললেও দেশদ্রোহ আইন বহাল রাখার সুপারিশ জাতীয় ল’ কমিশনের, বিতর্ক
ওই বৈঠক এতটাই গুরুত্বপূর্ণ ছিল যে কোনও কর্মীকেই মোবাইল ফোন নিয়ে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। বরং প্রত্যেককে তল্লাশি করে ফোন কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। ঠিক একই ভাবে আরএসএসের কার্যালয় মাধব ভবনেও একই জিনিস ঘটেছে। দুই জায়গাতেই সুশীল মোদি নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, যেভাবেই হোক তৃণমূল কংগ্রেসকে ভাঙতে হবে। আনতে হবে বিজেপিতে। যদিও শিলিগুড়ি বিজেপি নেতৃত্ব এনিয়ে মুখ খুলতে চায়নি। বরং অনেকেরই বক্তব্য, চাপিয়ে দেওয়া সিদ্ধান্ত কেন? কেন দল ভাঙানোর রাজনীতি করব? এমন কিছু করুন যাতে তৃণমূলের বিধায়ক থেকে পঞ্চায়েত প্রধান পর্যন্ত বিজেপিতে যোগ দিতে বাধ্য হয়। আর এক্ষেত্রে সাম্প্রদায়িকতার বিষ ছড়ান।
আরও পড়ুন-ভরাডুবির সতর্কতা সংঘের, মোদি–ম্যাজিক আর হিন্দুত্বের ভরসায় থাকলে লোকসভার যুদ্ধজয় সম্ভব নয়
এই বৈঠকের কোনও অডিও ক্লিপ যাতে না আসে তারজন্য সমস্ত ফোন কেড়ে নেওয়া হয়েছিল কর্মীদের। সব মিলিয়ে বলা চলে রাজনৈতিক লড়াইয়ে ব্যর্থ হয়ে বিজেপি সাম্প্রদায়িকতাকেই ব্যবহার করতে চাইছে ভোটের যুদ্ধে। মু্খ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ নিয়ে প্রকাশ্যেই সরব হয়েছেন। হাওড়া, হুগলি, ডালখোলায় রামনবমী ও হনুমানজয়ন্তীকে ঘিরে আরএসএস বিজেপি যে বিষ ছডি়য়েছে তা ন্যক্কারজনক। মুখ্যমন্ত্রীর সতর্কবার্তায় মানুষ আশ্বস্ত। বাংলার ঐতিহ্যই হল ঐক্য ও সংবেদনশীলতা।