প্রতিবেদন : ডায়াবেটিসের ছবিটা ক্রমশই উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে ভারতে। সমীক্ষা রিপোর্ট বলছে, ৪ বছরে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা বেড়েছে ৪৪ শতাংশ। এই মুহূর্তে এই লাইফস্টাইল রোগের শিকার দেশের ১০ কোটিরও বেশি মানুষ। অথচ মাত্র ৪ বছর আগে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল কমবেশি ৭ কোটি মানুষ। এখানেই শেষ নয় উদ্বেগের। দেখা যাচ্ছে প্রায় ১৩ কোটি ৬ লক্ষ মানুষের মধ্যেই রয়েছে ডায়াবেটিসের পূর্বলক্ষণ। চিকিৎসাশাস্ত্রের ভাষায় যাঁদের বলা যেতে পারে প্রিডায়াবেটিক।
আরও পড়ুন-বাংলায় লেখা হবে ওষুধের মাত্রা, নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য সরকার
সংখ্যাতত্ত্ব বলছে, দেশের মোট জনসংখ্যার মোট ১৫.৩ শতাংশের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে এই সাইলেন্ট কিলারের পূর্বলক্ষণ। যা নিঃশব্দে মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে চোখ, কিডনি, লিভার এবং হৃদযন্ত্রের মতো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গপ্রত্যঙ্গের। লন্ডনের মেডিক্যাল জার্নাল ‘ল্যানসেট’এ প্রকাশিত আইসিএমআর-এর সমীক্ষা রিপোর্টে ধরা পড়েছে এই আশঙ্কাজনক ছবি। এই রোগের সবচেয়ে বেশি প্রাদুর্ভাব দেখা যাচ্ছে গোয়ায় (২৬.৪ শতাংশ)। তারপরেই পুদুচেরি (২৬.৩ শতাংশ) এবং কেরলে (২৫.৫ শতাংশ)। এরপরে চণ্ডীগড়, দিল্লি, তামিলনাড়ু। বাংলার স্থান সপ্তমে। শতাংশের হিসেবে ১৩.৭। কিন্তু দুশ্চিন্তার কারণ হচ্ছে উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, বিহার এবং অরুণাচলের মতো রাজ্যে এখনও পর্যন্ত মধুমেহ রোগের প্রাদুর্ভাব তুলনামূলকভাবে কম হলেও, গবেষকদের সতর্কবার্তা, সামনের কয়েকবছরে এই রাজ্যগুলিতে দ্রুত মাথাচাড়া দিতে পারে এই রোগ। লক্ষণীয়, চিকিৎসাশাস্ত্র বলছে, টাইপ-টু ডায়াবেটিসের নেপথ্য কারণ মূলত ৪টি।
আরও পড়ুন-প্রার্থী খুঁজতে নাজেহাল অবস্থা বিরোধী রাজনৈতিক দলের, পাহাড়ে ২২ বছর পর পঞ্চায়েত
বংশগতির ধারা, কম দৈহিক পরিশ্রম, দুশ্চিন্তাময় জীবন এবং লাগামহীন খাদ্যাভ্যাস। নিয়মিত শরীরচর্চা, নিয়মিত হাঁটা, পরিমিত আহার এবং চিন্তাধারায় নিয়ন্ত্রণ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে এই নিঃশব্দ ঘাতকের বিরুদ্ধে সফল লড়াইয়ে। সবচেয়ে জরুরি, উদ্বেগমুক্ত জীবন। কিন্তু বাস্তবে তা সম্ভব হয় না বলে যোগাসনের অনুশীলন এক্ষেত্রে অত্যন্ত ফলপ্রসূ হতে পারে। বিকল্প নেই প্রাতঃভ্রমণেরও। তবে নিয়মিত ভাবে রক্তে শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াটা অত্যন্ত জরুরি। যদি চিকিৎসক মনে করেন তাহলে তাঁর পরামর্শ মেনে ওষুধ খেতেই হবে।