প্রতিবেদন : লোকসভা নির্বাচনের আগে কৌশলে হিন্দুত্বের প্রচার চালাতে চায় সংঘ (RSS)। সেই লক্ষে এক কুৎসিত ও অবৈজ্ঞানিক ফতোয়া জারি করল সংঘ। তাদের এই কৌশল সামনে আসতেই প্রশ্ন উঠেছে, বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার কি দেশকে ক্রমশ পিছনের দিকে নিয়ে যেতে চাইছে? তারা কি আজকের আধুনিক সভ্যতাকে মধ্যযুগে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চায়? ইতিমধ্যেই এই নতুন ফতোয়া নিয়ে দেশজুড়ে উঠেছে প্রতিবাদের ঝড়। গেরুয়া শিবিরের তরফে এই নতুন ফতোয়া জারি হয়েছে গর্ভবতী মহিলাদের জন্য। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের মহিলা শাখা রাষ্ট্রীয় সেবিকা সঙ্ঘের (RSS) সহযোগী সংগঠন সম্বর্ধিনী ন্যাস এবার দেশভক্ত সন্তানের জন্ম দিতে উদ্যোগী হয়েছে। যদিও এই পরিকল্পনার কথা সামনে আসতেই সকলেই বলেছেন, এক অবাস্তব ও অবৈজ্ঞানিক পরিকল্পনা। বিজ্ঞানের যুগে দাঁড়িয়ে এ ধরনের চিন্তাভাবনা নিতান্তই হাস্যকর। মানুষ যখন ভিন গ্রহে পাড়ি দিচ্ছে তখন দেশভক্ত সন্তানের জন্ম দিতে মেয়েদের রামায়ণ, মহাভারত শোনার কথা বলা হচ্ছে। এভাবে যে দেশভক্ত সন্তানের জন্ম হবে তার বিজ্ঞানসম্মত প্রমাণ কী আছে? বরং এই প্রকল্পকে সামনে রেখে সংঘ হিন্দুত্বের প্রচার সারতে চাইছে। সমাজে বিভাজন তৈরির চেষ্টা করছে। লোকসভা ভোটের কথা মাথা রেখে বিজেপি এই হিন্দুত্বের প্রচারকে সব ধরনের উৎসাহ জোগাচ্ছে। এ ধরনের হিন্দুত্ববাদী প্রচার অবিলম্বে বন্ধ হওয়া দরকার। দেশভক্ত সন্তানের জন্ম দিতে রবিবার থেকে দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে গর্ভ সংস্কার অভিযান শুরু করছে আরএসএস ঘনিষ্ঠ সম্বর্ধিনী ন্যাস। এই প্রক্রিয়ায় অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের ভাগবত গীতা, রামায়ণের মতো ধর্মগ্রন্থ পাঠ করানো হবে। সংস্কৃত মন্ত্রোচ্চারণের পাশাপাশি ভগবান রাম, হনুমান, ছত্রপতি শিবাজির কাহিনিও শোনানো হবে।