প্রতিবেদন : প্রায় দেড় মাস ধরে জ্বলছে মণিপুর। উত্তর-পূর্বের এই পাহাড়ি রাজ্যের অশান্তি নিয়ে এখনও একটি শব্দ উচ্চারণ করেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শান্তি ফেরাতে মাঝে কয়েকদিনের জন্য সেখানে গিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কিন্তু তাঁর গৃহীত কোনও পদক্ষেপেই শান্তি ফেরেনি। বরং অশান্তির আগুন এখনও জ্বলছে। শান্তি ফেরাতে রাজ্যে যে শান্তি কমিটি গড়েছে কেন্দ্র, সেই কমিটিকে বয়কট করার কথা জানিয়ে দিয়েছে কুকি সম্প্রদায়।
আরও পড়ুন-মুশকিল আসান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, আরামবাগের তেলুয়ায় শুরু হল রাস্তা তৈরির কাজ
মঙ্গলবার মণিপুরের ইন্ডিজেনাস ট্রাইবাল লিডার্স ফোরাম অভিযোগ করেছে, এখনও পর্যন্ত চলতি দাঙ্গায় ২৫৩টি চার্চ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে ৮০টি সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। সোমবারও কুকি সম্প্রদায়ের একজনকে খুন করা হয়েছে। আচমকা হামলায় জখম হয়েছেন বেশ কয়েকজন। পরিকল্পনা করেই কুকিদের উপর এই হামলা চালানো হয়েছে। সোমবার পর্যন্ত সরকারি হিসেবে রাজ্যে মৃতের সংখ্যা ১২০। ঘরছাড়া প্রায় ৫২ হাজার মানুষ। যদিও বেসরকারি মতে এই সংখ্যাটা আরও অনেক বেশি। এই পাহাড়ি রাজ্যে মূলত মেইতেই জনগোষ্ঠীর সঙ্গে অশান্তি চলছে কুকিদের। মেইতেইরা হিন্দু জনগোষ্ঠীর। অন্যদিকে কুকিদের বেশিরভাগই খ্রিস্টান।
আরও পড়ুন-বন্ধ হচ্ছে মৈত্রী ও বন্ধন এক্সপ্রেস,জানাল রেল
রাজনৈতিক মহলের অনুমান, মেইতেইদের পিছনে রয়েছে বিজেপির সক্রিয় মদত। সে কারণেই সংখ্যালঘু খ্রিস্টানদের চার্চগুলির উপর একের উপর হামলা হচ্ছে। অথচ দুষ্কৃতীরা অধরা। বিজেপির শাসনে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে খ্রিস্টানদের প্রভাব ক্রমশ বাড়ছে। তাই খ্রিস্টানদের বাড়বাড়ন্ত রুখতে এভাবেই চার্চে হামলা।