ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের তাণ্ডবে জেরবার গুজরাত (Biporjoy- Gujarat)। বৃহস্পতিবার রাতে গুজরাতের কচ্ছের মাণ্ডবী ও জাখাউ বন্দরে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’। তখন গতিবেগ ছিল ১১৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। একটা সময় গতিবেগ ছাড়ায় ১৪০ কিলোমিটার। মৌসম ভবন সূত্রে দাবি, ল্যান্ডফলের পরে অতি তীব্র থেকে তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে বিপর্যয়। আজ, শুক্রবার দুপুর ১২টার মধ্যেই তা নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। ঝড়ের গতিবেগ নেমে আসবে ৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়। এখন এর গতিমুখ হবে রাজস্থানের দিকে।
আরও পড়ুন- সন্ত্রাসবাদী ও ভারতীয় সেনার সংঘর্ষ, জম্মু-কাশ্মীরে নিকেশ ৫ জঙ্গি
জানা গিয়েছে, ১৫ জুন রাতে বিপর্যয়ের তাণ্ডবের শিকার হয়েছেন অন্তত ২ জন। গাছ বা বিদ্যুতের খুঁটি চাপা পড়ে ভাবনগরের দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ২২ জন। মারা গিয়েছে ২৩টি পশুও। বহু বিদ্যুতের খুঁটি এবং গাছ উপড়ে গিয়েছে। গুজরাটের ৯৪০টি উপকূলীয় গ্রাম এখন বিদ্যুৎহীন। সৌরাষ্ট্র এবং কচ্ছ উপকূলে ভারী বৃষ্টি হয়েছে রাতভর। বৃহস্পতিবার রাতেই গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেলকে ফোন করে রাজ্যের পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের (Biporjoy- Gujarat) জন্য আগে থেকেই লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছিল গুজরাতের উপকূলবর্তী এলাকায়। সেইমতোই প্রস্তুতি নিয়েছিল দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী। কয়েক হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় আগেভাগেই। সমুদ্রে যাতায়াত সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা হয়। সেই কারণেই হতাহতের সংখ্যা অনেক কম হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। আইএমডি জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় এখনও সৌরাষ্ট্র-কচ্ছ অঞ্চলের উপরই কেন্দ্রীভূত রয়েছে এর পরে সেটি উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হবে। এর ফলে, আজ শুক্রবার রাজস্থানে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ঝড়ের জেরে তিন দিন ধরে বিচ্ছিন্নভাবে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। বারমের এবং জালোরের বাসিন্দাদের আসন্ন ঘূর্ণিঝড় এবং বৃষ্টিপাত নিয়ে সতর্ক থাকার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে জোধপুর এবং উদয়পুরেও। এছাড়াও জয়সলমির, বারমের, জালোর এবং আজমীরে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটার বেগে শক্তিশালী ঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় এবং এর প্রভাবে ভারী বৃষ্টিপাতের মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই মুখ্যসচিব, ডিজিপি এবং আবহাওয়া দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। দুর্যোগের মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে রাজস্থানও।