প্রতিবেদন : রাত পোহালেই জগন্নাথ মহাপ্রভুর রথযাত্রা। স্বাভাবিকভাবেই এবারে সংশয় ছিল আবহাওয়া নিয়ে। তবে কি দাবদাহের মধ্যেই রথযাত্রা? সংশয় পুরোপুরি না কাটলেও সোমবার ভোরের আকাশ কালো করে ঘনিয়ে আসা মেঘ, কোথাও কোথাও বৃষ্টি বা মেঘ-রোদের লুকোচুরি কিছুটা হলেও আশার আলো জ্বালিয়েছে। মাহেশ থেকে মহিষাদল, কলকাতা থেকে পুরী- চলছে রথে শেষ তুলির টান। প্রতিবারের মতো এবারেও ইস্কনের রথযাত্রার প্রতীক্ষায় মহানগরী।
আরও পড়ুন-কালো মেঘে বর্ষা এল অবশেষে
রথের রশ্মিতে আনুষ্ঠানিকভাবে টান দিয়ে যাত্রার সূচনা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আশায় বুক বেঁধে মঙ্গলবারের পবিত্র দিনের প্রতীক্ষায় কুমোরটুলির প্রতিমাশিল্পীরাও। কারণ দুর্গাপ্রতিমার আনুষ্ঠানিক বায়নার শুরু হয় রথের দিনই। কোভিডত্রাসে গত বছর তিনেকে কিছুটা মন্দার পরে এবারে তা থেকে মুক্তির আশা কুমোরটুলির। বেশ কয়েকজন প্রতিমাশিল্পীর কাছে ইতিমধ্যেই প্রতিমা গড়ার অর্ডার এসেছে। রথের দিনে বায়নার বহর দেখেই মালুম হবে এবারের চাহিদা। বিভিন্ন বারোয়ারি পুজোকমিটি এই দিনটিকেই বেছে নেন দুর্গাপুজোর খুঁটিপুজোর জন্য। চলছে তার প্রস্তুতি। অনেক বনেদি বাড়িতেই দুর্গাপ্রতিমার কাঠামোয় মাটির প্রলেপ দেওয়ার শুরু এদিনই। সেই উপলক্ষ্যে বিশেষ পুজোপাঠ এবং উৎসবের পরিবেশ।
আরও পড়ুন-ক্ষুদ্র সেচ ব্যবস্থার উন্নয়নে সহযোগিতার হাত, রাজ্যকে বিশ্বব্যাঙ্কের ১৫০০ কোটি ঋণ
যাত্রাপাড়াতেও পালার শুভ সূচনা হয় এদিনই করমণ্ডল দুর্ঘটনার জেরে ট্রেন-দুর্ভোগে মহাপ্রভুর স্নানযাত্রায় অনেকেই পৌঁছতে পারেননি পুরীতে। বেশকিছু ট্রেন বাতিল হওয়ায় পুরী গিয়ে রথযাত্রায় অংশ নেওয়ার সাধও এবারে অপূর্ণ থেকে যাচ্ছে অনেকেরই। তবে পাঁপড়ভাজা, তেলেভাজা আর জিলিপীর আয়োজন থেকে এবারেও বঞ্চিত হচ্ছে না বাংলার মানুষ। মঙ্গলবার থেকেই শ্রীরামপুরের মাহেশে শুরু হচ্ছে একমাস ধরে রথের মালা। জমে উঠবে মৌলালির মেলাও।